E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

‘যারা শুদ্ধ উচ্চারণে বাংলা বলতে পারে না তারাই সংখ্যালঘু’

২০১৯ জানুয়ারি ২৭ ১৬:৪৯:৫০
‘যারা শুদ্ধ উচ্চারণে বাংলা বলতে পারে না তারাই সংখ্যালঘু’

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক বলেছেন, “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” শ্লোগান কোন রাজনৈতিক দলের নয়। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান, দেশের শ্লোগান। তাই বিদ্যালয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পরে শিক্ষার্থীদের “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” শ্লোগান শেখাতে হবে। এটা দেশত্ববোধের শ্লোগান। 

তিনি বলেন, আগে জাতি ভিত্তিক রাষ্ট্র ছিল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা পরিবর্তন করে ধর্ম রিপেক্ষ রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। তাই দেশে কোন সংখ্যালঘু নেই। যারা জাতিগত সংখ্যালঘু বলেন বা ভাবেন তারা ভুল করেন। এখানে সংখ্যালঘু হল তারাই, যারা বাংলাদেশে বাস করে শুদ্ধভাবে বাংলা বলতে পারে না। যারা শুদ্ধাচারণ করতে পারেন না তারাই সংখ্যালঘু।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষায় সন্তানদের এ প্লাস পাওয়া নিয়ে মায়েদের কি যুদ্ধ আমার দেখছি। অথচ সেই এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিশুদ্ধ বাংলা বলতে পারেন না। গোল্ডেন এ প্লাস কোন শব্দ না থাকলেও তা নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়ে যায়। শুধু এ প্লাস পেলেই হবে না, শিক্ষার সাথে বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতিগুলো শিক্ষকদের শেখানোর আহ্বান জানান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক।

রবিবার সকালে জাতির পিতার শৈশবের বিদ্যাপীঠ গৈলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, ৪৭টি ইভেন্টে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শৈশবের বিদ্যাপীঠের অনুষ্ঠান এসে তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করে প্রতিষ্ঠাতা কৈশাল চন্দ্র সেনের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রবীন এই শিক্ষাবিদ তার অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্যর কারণে শিক্ষার্থীরা ওই কোচিংএ না পড়লে শিক্ষার্থীরা ফেল করে ! এই মানসিকতা থেকে শিক্ষকদের বের হয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সভাপতি থাকায় শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্যর বিরোধীতা করায় মন্ত্রীরা তাকে ধন্যবাদ না দিয়ে বরং ফোন করে বানিজ্যিক শিক্ষককদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। এটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য নেতিবাচক। এখন শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হয়েছে। যুগোপযোগী শিক্ষা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল বিভাগীয় পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। যাতে এলাকার শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে পারে। তাই ঘরের দুয়ারের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সবার শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গৈলা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি বিপুল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ববি’র উপ-পরিচালক ফয়সাল আহম্মেসদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন, বাংলা বিভাগের চেয়াম্যান মহসিনা হোসেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগেরে চেয়ারম্যান শরিয়া উম্মে শিরিণ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শিক্ষক সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লিটন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন, বিদ্যালয় সাবেক সভাপতি ও ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গিয়াস মোল্লা, ভাইচ চেয়ারম্যান মলিনা রানী রায়, জসীম সরদার, গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু। অনুষ্ঠানে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় গুনী ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ মধ্যযুগীয় প্রখ্যাত কবি বিজয় গুপ্ত প্রতিষ্ঠিত মনসা মন্দির ও মন্দির আঙ্গিনা ঘুরে দেখে পরিদর্শন পহিতে স্বাক্ষর করেন।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ২৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test