E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

নিখোঁজের ৪ মাস পর ক্ষতবিক্ষত কিশোরী উদ্ধার, আটক ১

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ০৫ ১৬:৩৫:৫৫
নিখোঁজের ৪ মাস পর ক্ষতবিক্ষত কিশোরী উদ্ধার, আটক ১

ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ছানন্দী ইউনিয়নের চরনোঙ্গলিয়া গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে নিখোঁজের প্রায় ৪ মাস পর ক্ষতবিক্ষত ও মমুর্ষ অবস্থায় রাহেনা আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরীকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। 

ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহ সুমন নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার মূলহোতারা এখনো পলাতক রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা শহর মাইজদী থেকে সুমনকে আটক করা হয়েছে।

এরআগে, ওই কিশোরীকে চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজের নিছ থেকে উদ্ধার করে বিকেলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। উদ্ধারকৃত রাহেনা আক্তার চরনোঙ্গলিয়া গ্রামের এনায়েত উল্যার মেয়ে।

ভিকটিমের মা সামছুন নাহার অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৪মাস আগে তিনি বাড়ীর বাহিরে থাকার সুযোগে তাদের প্রতিবেশী স্থানীয় জামাল উদ্দিন প্রকাশ জামাইল্লা চোরার মেয়ে রিনা আক্তার বাড়ীতে এসে নেশা দ্রব্য দিয়ে রাহেনাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে বাড়ীতে এসে রাহেনাকে না দেখতে পেয়ে বিভিন্নস্থানে খোজাখুঁজি করেন। রিনা বাড়ী থেকে রাহেনাকে নিয়ে গেছে বলে তাঁর বড় ছেলের শাশুড়ী তাঁকে জানান। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রাসহ রিনাকে জিজ্ঞেস করলে রিনা ঘটনা অস্বীকার করে।

তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, নিখোঁজের কয়েকদিন পর রাহেনা একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে তাঁকে কল দিয়ে বলে‘মা আমি রাহেনা’ একথা বলার পরই কল কেটে যায়। এরপর থেকে তারা রাহেনার আর কোন সন্ধান পাননি। রবিবার গভীররাতে পুনঃরায় একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে তাঁর কাছে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি কল দিয়ে রাহেনার বিষয়টি অবগত করলে রাতে তারা চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজের নিছ থেকে মমুর্ষ অবস্থায় রাহেনাকে উদ্ধার করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাহেনা বলেন, গত ৪ মাস রিনার মামী আলেয়া আক্তার তার মাইজদীস্থ বাসায় রেখে প্রছন্ড মারধর করা হতো তাকে। কখনো ব্লেট দিয়ে পুরো শরীরে ক্ষত করা হয়েছে, কখনো গরম পানি ঢেলে দেওয়া হয়েছে, কখনো শরীরে এসিড দিয়ে পুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ রবিবার রাতে একটি গাড়ী করে তাকে কালুরঘাট ব্রিজের কাছে নিয়ে লাথি দিয়ে ফেলে আসে আর বলে তুই মর।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, ভিকটিম ও পরিবারের তথ্যমতে তার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। তার শরীরের প্রতিটি অংশে ক্ষত রয়েছে। তাই হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমকে দেখে এসেছেন। প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে সুমন নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test