E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দুমকির পাঙ্গাশিয়া কামিল মাদ্রাসা ভবন ঝূঁকিপূর্ণ

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ০৬ ১৫:০৫:২০
দুমকির পাঙ্গাশিয়া কামিল মাদ্রাসা ভবন ঝূঁকিপূর্ণ

সোহাগ হোসেন, দুমকি (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধমীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঙ্গাশিয়া কামিল মাদ্রাসা ভবন মারাত্মক ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ইট, সুড়কি খসে পড়ে ও বড় বড় ফাটল দেখা দেয়ায় ভবন ধ্বসের আশংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে শিক্ষক-ছাত্রসহ কর্তৃপক্ষ। বিকল্প ব্যবস্থার অভাবে এমন ঝূঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ৫শতাধিক শিক্ষার্থীর জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৯১৯সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী পাঙ্গাশিয়া কামিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনটি মারাত্মক ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিট্রিশ শাসন আমলে চুন ও সুরকির মিশ্রণে র্নিমিত মূল একাডেমিক ভবনটির চুনকাম, প্লাষ্টার খসে খসে পড়ছে। প্রাচীণ যুগের কারুকার্য খোঁচিত ভবনের চুন সুড়কির প্লাষ্টার খসে যাওয়ায় বিভিন্ন দেয়াল ও ছাদে দেখা দিয়ে ছোট, বড় ফাটল। প্রতিনিয়ত ভবনটির বিভিন্ন স্থানের ছাদ ও বিম ধ্বসে পরছে । বিকল্প অবকাঠামোর অভাবে এমন ঝূকিপূর্ণ ভবনেই চলছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম।

এ ছাড়া প্রতিবছরের দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল পরীক্ষা কেন্দ্রের সবগুলো পাবলিক পরীক্ষা এ প্রাচীণতম ঝূঁকিপূর্ণ ভবনেই চলে আসছে। এমন ভঙ্গুর দশার একাডেমিক ভবনটি যে কোন সময় ধ্বসে পরার আশংকা প্রকট হয়ে ওঠেছে। এঅবস্থায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ভবনটির স্থায়িত্ব যাছাই না করেই মারাত্মক ঝুঁকির মুখে থাকা ভবনটিতে এবতেদায়ী থেকে কামিল পর্যন্ত ৫শতাধিক শিক্ষার্থীর নিয়মিত ক্লাশ-কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আতংকের মধ্যে থেকেই এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে নিয়মিত ক্লাশ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ মাহমুদ সোহায়েল বলেন, মাদ্রাসা ভবনটি ব্যবহার অনুপযুগি সত্যেও বিকল্প অবকাঠামোর অভাবে ব্যবহার করতে হচ্ছে। নূতন ভবনের জন্য অর্থ বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। নূতন একাডেমিক ভবন নির্মিত হলে আর কোন সমস্যা থাকবে না।

স্থানীয় কয়েকজন ছাত্র অভিবক জানান, যে কোন সময় ভবনটি ধ্বসে পরতে পারে। এমন পুরানা আমলের ভবনটি কর্তৃপক্ষ কেন পরিত্যাক্ত ঘোষণা না করে ব্যবহার করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। এমন ঝুঁকিতে থাকা ভবনটি ব্যবহারে যে কোন সময় বড় ধরনের হতাহতের মতো দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা করছেন তারা।

পাংগাশিয়ার সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ইউনুচ মুন্সী বলেন, প্রাচীণতম মাদ্রাসা ভবনটি এখন আর ব্যবহার করা ঠিক না। যে কোন সময় ছাদ্র বা দেয়াল ধসে পড়তে পারে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনটি ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করেছি, কিন্তু কৃর্তৃপক্ষ তা আমলে নিচ্ছে না। বরং অর্থ সংকট দেখিয়ে ঝুকিপূর্ণ ভবনেই মাদ্রাসার কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test