E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মানবতার দেয়াল গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৫:১৬:২১
মানবতার দেয়াল গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : জেলা প্রশাসক যুগ যুগ ধরে সাধারণ মানুষের ভয়ের কারণ হলেও সম্প্রতি বাংলাদেশের কয়েকজন মানবিক, হৃদয়বান ও প্রকৃত শিক্ষার আলোয় আলেকিত মানুষের সন্ধান মেলে যারা জেলা প্রশাসক শব্দের সেই পুরনো ধারনা রীতিনীতি আর মানুষের মাঝের শংকাকে ভালোবাসা দিয়ে, মানবিকতা দিয়ে, উদারতা দিয়ে পরিবর্তন করে চলেছেন। 

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক সাধারণ মানুষের কাছে প্রমাণ করেছেন জেলা প্রশাসক মানে একটি বৃহৎ বটগাছ। যার রয়েছে বিস্তৃত ছায়া আর নিরাপত্তার ডাল-পালা। যার ভিতরে রয়েছে মানবিকতার এক প্রবাহমান ঝর্ণাধারা। যার চোখ থেকে বিচ্ছুরিত হয় ভালোবাসার অমিয় সূধা। যার বিবেক সুউচ্চতায় দন্ডায়মান।
জেলা প্রশাসকের আদলে যিনি একজন পরিপূর্ণ মানুষ। যার মনুষত্ব্য সকল বিভেদ ভেঙ্গে ধনী-গরীব, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের গান গেয়ে ওঠে। অসহায় মানুষের মর্মবেদনায় যার ভিতর হাহাকার করে ওঠে। আর অভুক্তের মুখে খাবার তুলে দিতে পারলে, বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদিলে, নির্যাতিতের পাশে শক্ত হয়ে দাড়ালে যার মন ও বিবেক প্রশান্তিতে ভরে ওঠে।

আমাদের গাইবান্ধা জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ আবদুল মতিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে যে মানুষগুলো নিজেদের মানবিকতা, ভালোবাসা ও উদারতা উজাড় করে সাধারণ মানুষের মাঝে নিজেকে মিশিয়ে নেন তিনি জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।

ইতিপূর্বে গণশুনানীতে নিজে নিচে নেমে সাধারন মানুষের সমস্যার কথা শুনে সমাধানের পথ বাতলে দিয়ে সাধারণ মানুষের আপনজনে পরিণত হয়েছেন। এছাড়া তার অফিসে গ্রামের একজন সাধারণ কৃষক, একজন মুটে-মজুর গেলেও তার সাথে হাসিমুখে কথা বলে তিনি সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

গাইবান্ধায় যোগদানের পর থেকে একের পর এক ব্যতিক্রমী চিন্তা চেতনায় আকৃষ্ট করলেও এবার এক অকল্পনীয় ও অভাবনীয় নজির স্থাপন করেছেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে অফিসে আসার পথে চোখে পরে এক অসহায় বৃদ্ধার। জরাজীর্ণ তেল চিটচিটে পোশাক, যবুথবু শরীর, একজন মেরুদন্ড সোজা করে দাড়াতেও পারেন না। বয়সের ভারে কুব্জ হয়ে পড়েছেন। সেই সাথে দারিদ্রতার ছাপ স্পষ্ট। কুচকে যাওয়া চামড়ার ভাজে বঞ্চনার দগদগে ঘা। স্বভাবজাত ভাবেই বৃদ্ধাকে নিয়ে আসলেন অফিসে। জানা যায় সাঘাটা থেকে এসেছেন, বয়েসের ভারে নিজের নাম বলতে পারেন নি ঐ বৃদ্ধা।

কম্বল ও আর্থিক সাহায্য প্রদান করে জেলা প্রশাসক বললেন কখনও কোন সমস্যায় পড়লে আবারও অফিসে আসবেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সকলেই তখন হতবাক। আর সেই বৃদ্ধা যেন নিজের সন্তানের মতো হৃদয় থেকে দোয়া করলেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিনের জন্য।ছবি ০৩

(এসআইআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test