সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় কড়ইতলী-গোবরাকুড়া স্থলবন্দরের উন্নয়ন ব্যাহত 

জোটন চন্দ্র ঘোষ, হালুয়াঘাট : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণার ৭ বছর অতিবাহিত। উভয় স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি বছর প্রায় শতকোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ব্যহত হচ্ছে উন্নয়ন কার্যক্রম।

জানা যায়, গত ২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে দুটি স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি। স্থলবন্দর ঘোষণা তৎকালীন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বলেছিলেন,২৫ একর জমি অধিগ্রহন, বিদ্যুৎ সংযোগ,ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট স্থাপন, ল্যান্ড কাস্টমস অফিসের অবকাঠামোসহ সেডঘর নির্মাণ, গোবরাকুড়া ও কড়ইতলী সংযোগ সড়ক নির্মাণ, হালুয়াঘাট বাজার থেকে কড়ইতলী জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করণের প্রতিশ্রুতি দেন। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি গোবরাকুড়া কড়ইতলী বিদ্যুায়িত হয়েছে এবং দুটি স্থলবন্দরের সংযোগ সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার মাটি কাটার কাজ হয়েছে। বাকি কাজ গুলো এই সরকারের আমলে বাস্তবায়নের জন্য দাবি জানান কয়লা আমদাীনকারক সমিতির সদস্যরা।

১৯৮৯ সালে কড়ইতলী স্থলবন্দর দিয়ে সর্বপ্রথম কয়লা আমদানী শুরু হয় অত্র উপজেলায়। প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও বন্দরের উন্নয়নকল্পে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা। স্থলবন্দর উন্নয়নে ইমিগ্রেশন চেক পোষ্ট স্থাপন এর মাধ্যমে সারা বছর এলসি স্টেশন চালু রেখে বিভিন্ন পণ্য আমদানি রপ্তানি করতে স্থলবন্দর কতৃপক্ষ এন, বি, আর, এর নিকট লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সম্প্রতি ভারতীয় পরিবেশ বাদীদের করা এক মামলায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশে আগামী ১৯ র্ফেরুয়ারী পর্যন্ত কয়লা পরিবহনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন দেশটির আদালত। ফলে বাংলাদেশে ভারতীয় কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। যার ফলে বিপাকে পরেছেন হালুয়াঘাটের প্রায় এক হাজার আমদানিকারক সদস্যরা পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন উভয় বন্দরের প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক। শিঘ্রই সরকারের হস্তক্ষেপ চান ব্যবসায়ীরা।

(জেসিজি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯)