E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাণীশংকৈলে আনসার নিয়োগে বাণিজ্যে

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ১৫ ১৬:০২:০২
রাণীশংকৈলে আনসার নিয়োগে বাণিজ্যে

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : বিনা বেতন ভাতায় র্দীঘ ২৮-৩০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমানে সরকার আমাদের সন্মানী ভাতার ব্যবস্থা করছে বলে শুনেছি। অথচ ঠিক এ সু-সময়ে আমাদের নিয়োগগুলো বাতিল করে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভে এবং এর প্রতিকার চেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের আনসার ইউপি কমান্ডার ও সহকারী কমান্ডাররা ।

এ সময় তারা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা আবুল কাশেম ও প্রশিক্ষক শাহেরা খাতুন ও জেলা কর্মকর্তা আহসান উল্লাহর বিরুদ্বে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন।

সংবাদ সন্মেলনে ইউনিয়ন কমান্ডার আঃ রশিদ লিখিত বক্তব্যে বলেন আমরা ৮টি ইউনিয়নের আনসার কমান্ডার ও সহকারি কমান্ডাররা দীর্ঘ ২৮-৩০ বছর ধরে কোন বেতন ভাতা ছাড়াই দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু ১ মাস পূর্বে আমাদের কর্মকর্তারা মোবাইলে জানায় যে সরকার কমান্ডারদ্বয়ের ভাতা চালু করেছে এ জন্য নিজ নিজ পদে থাকার জন্য ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা ঘুষ লাগবে। এজন্য আবার ১০-১৫ দিন সময় বেঁধে দেয় এ সময়ের মধ্যে আমরা ঘুষের টাকা দিতে ব্যার্থ হওয়ায় গোপনে অন্যের কাছে টাকা নিয়ে নতুন লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । আমরা সংবাদকর্মিদের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আর্কষন কলে বলছি আমাদের অধিকার আমাদের ফিরিয়ে দিন। দূ-সময়ে আমরা ছিলাম সু-সময়ে কেন নয়। তারা সংবাদ সম্মেলনে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে।

এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে আনসার ভিডিপি কর্মকর্তারা গোপনে যারা বাহিরে চাকুরী করছে এবং দাবীকৃত ঘুষের টাকা দিতে পেরেছে তাদের কে ইউনিয়ন কমান্ডার ও সহকারি কমান্ডারের নিয়োগ দিয়েছে।

এছাড়াও শ্বারদীয় দূগাপূজা ও নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র পাহারার জন্য যাদের নিয়োগ দেন তাদেরও উৎকোচ ছাড়া নিয়োগ দেন না। এ প্রসঙ্গে প্রশিক্ষক শাহেরা খাতুন বলেন আমি যে ঘুষ চেয়েছি এর কোন প্রমান নেই অভিযোগকারিরা অভিযোগ করতেই পারে। এ ব্যাপারে আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আবুল কাশেম তথ্য দিতে গড়িমশি করে বলেন এ নিয়োগ গুলো আমি দেয়না । জেলা কমান্ডেন্ট স্যার দিয়ে থাকে আপনার কোন তথ্য জানার থাকলে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে পারেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা কমান্ডেন্ট আহসান উল্লাহ’র সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পূর্বে আমাদের কোন কমান্ডার ছিলো না এ কারনে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা দক্ষ ব্যাক্তিদের নামের তালিকা প্রেরণ করেছেন। ঘুষ গ্রহনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এটা একটা সেচ্ছাশ্রমের পোষ্ট এখানে কে বা কারা এত টাকা ঘুষ দিবে আপনিই বলেন।

(কেএএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test