E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা বিধবার মামলা, আটক ১

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ১৮ ১৮:০৯:৫৯
ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা বিধবার মামলা, আটক ১

নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা বিধবা বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ।  এ ঘটনায় পুলিশ এজাহারভূক্ত আসামী জাফর মোল্যাকে আটক করে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউপির রায়গ্রামের অনিল কুমার বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি পুষ্প বিশ্বাস (৪২) নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। গত দু’বছর আগে অনিল বিশ্বাস বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায় । এমতাবস্থায় বিধবা তার দু’টি শিশু সন্তান নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন । বিগত ২০১৮ সালের ১৮ আগষ্ট ওই বিধবা প্রতিবেশী জাফর মোল্যার বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে মাটি কাটার কাজে যান। এ সময় বাড়ির তদারকির কাজে নিয়োজিত জাফর মোল্যার শ্যালক একই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক মীনার ছেলে ইমদাদুল মীনা (৪৫)বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই বিধবাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

লোকলজ্জা ও প্রাণের ভয়ে ওই বিধবা মুখ খুলতে সাহস পায়নি। কিন্তু এরই মধ্যে গর্ভের অনাগত সন্তান দিনদিন বড় হতে থাকায় তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে প্রতিবেশী মহিলাদের কাছে ধর্ষণের ঘটনাটি বলে। এরপর ধর্ষণের ঘটনাটি এলাকায় ফাঁস হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে ধর্ষক ইমদাদুল মীনার ভগ্নিপতি জাফর মোল্যা ও ভাই তারিকুল মীনা এ বিষয়ে মামলা না করার জন্য ওই মহিলাকে ভয় ভীতি দেখায় এবং ভিটেবাড়ি বিক্রি করে ভারতে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে । এরই মধ্যে গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হওয়ায় নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। ওই বিধবাসহ তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিলে বিধবা পুষ্প বিশ্বাস বাদী হয়ে গত রবিবার রাতে ধর্ষক ইমদাদুল মীনাসহ তিন জনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । মামলা নং ২০।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর বিশ্বাস বলেন, থানায় মামলা হয়েছে এবং এজাহারভূক্ত আসামী ধর্ষকের ভগ্নিপতি জাফর মোল্যাকে আটক করা হয়েছে। অপর আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

(আরএম/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test