E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২২ দিন ধরে মার্কেট তালাবদ্ধ, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ২৫ ১৭:৩৬:১০
২২ দিন ধরে মার্কেট তালাবদ্ধ, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি মার্কেট তালাবদ্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। মার্কেটটি তালাবদ্ধ থাকায় গত ২২ দিন ধরে দোকানপাট খুলতে পারেননি ওই মার্কেটের ব্যবসায়িরা। দোকানের ভেতরে আটকে থাকা মালামাল নিয়েও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা। উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া মোড়ের এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

মার্কেটের ব্যবসায়ী সাহাদৎ হোসেন জানান, সাতবাড়িয়া গ্রামের বেলাল হোসেন গংরা দেড় বছর আগে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের সাতবাড়িয়া মোড়ের অদুরে ৯ কক্ষবিশিষ্ট একটি মার্কেট নির্মাণ করেন। মার্কেটটি নির্মাণের পর এর দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে আমি মিষ্টির ব্যবসা করে আসছি। দোকনের নাম দিয়েছি জাকির মিষ্টান্ন ভান্ডার। দুটি কক্ষের জন্য আমাকে জামানত দিতে হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। প্রতি মাসে ভাড়া গুনতে হয় ১ হাজার টাকা করে।

তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করে গত ৪ ফেব্রুয়ারি জমির মালিকানা দাবি করে সাতবাড়িয়া গ্রামের মোজাম্মেল হক গংরা মার্কেটটি তালাবদ্ধ করে দেন। দোকানের ভেতরে থাকা মালামাল বের করতে দেয়া হয়নি। তালাবদ্ধ থাকায় ২০ দিন ধরে আমি দোকান খুলতে পারিনি। এতে করে দোকানের ভেতরে বিক্রির জন্য মজুদকৃত মিষ্টিসহ অন্যান্য মালামাল পচে নষ্ট হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন জানান, ওই মার্কেটে আমার ইলেকট্রনিক্সের দোকান রয়েছে। এ দোকানের আয়ে আমার সংসার চলে। দীর্ঘদিন দোকানঘরটি খুলতে না পারায় আমার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। দোকানের মালামাল বের করার সুযোগ দেয়া হলে সেগুলো অন্যত্র সরিয়ে ব্যবসা চালু রাখতে পারতাম। বর্তমান আমি চরম বেকাদায় পড়েছি।

মার্কেটের মালিক বেলাল হোসেন জানান, পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ওই জমিতে আমরা চারভাই মিলে একটি মার্কেট নির্মাণ করেছি। মার্কেটটি প্রতিপক্ষ মোজাম্মেল হক, মকলেছুর রহমান গংরা সম্প্রতি তালাবদ্ধ করে দিয়েছে। এতে আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি।

তিনি আরও বলেন, জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

জমির মালিকানা দাবিদার মকলেছুর রহমান জানান, দাদার ৫ ছেলের মধ্যে আমার বাবা খলিলুর রহমান সবার বড়। বাবা মারা গেলে ওয়ারিশসুত্রে আমরা ওই জমির মালিকানা লাভ করি। ওই জমির দখল নিয়ে একাধিকবার মারপিট, হামলা, ভাঙ্চুর ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। মামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে আমরা সপরিবারে বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেই। এ সুযোগে প্রতিপক্ষরা ওই জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছে।

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন জানান, সাতবাড়িয়া মোড়ে একটি মার্কেট তালাবদ্ধ করার বিষয়ে আমি অবহিত হয়েছি। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানার কেউ অভিযোগ করেননি।

(বিএম/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test