E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অধ্যক্ষের অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ

শালিখার আইডিয়াল টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজটি এখন অচল

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ২৬ ১৬:২৮:৪০
শালিখার আইডিয়াল টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজটি এখন অচল

মাগুরা প্রতিনিধি : অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাসের অর্থ আত্মসাৎ, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে মাগুরার শালিখার আইডিয়াল টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের এখন অচল। ফলে, কলেজে শিক্ষারত ৪ শতাধিক ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানান- ২০০১ সালে আইডিয়াল টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজেটি শালিখার বাউলিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর ০৩.১০.২০০৪ তারিখে অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তী অনুযায়ী মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালি আর্দশ কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস (যার ইনডেক্স নং ৪২৭৩৬৩) বিনা বেতনে খন্ড কালীন অধ্যক্ষ হিসেবেযোগদান করেন।

তিনি যোগদানের পূর্বে বাবুখালি আর্দশ কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকটথেকে অনুমতি পত্রনেন। কিন্তু প্রদীপ কুমার বিশ্বাস এই অনুমতি পত্রের ভিত্তিতেই পূর্নাঙ্গ অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। বিষয়টি জানতেপেরে বাবু খালি কলেজ কর্তৃপক্ষ বা/ক-০৮/০৯ তাং-০৭/০৩/২০০৯ স্মারকেবেসরকারি উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ শিক্ষক গনের চাকরির শর্তাবলীরেগুলেশন/১৯৭৯ এর ১১/১ ধারামোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ মর্মে অধ্যক্ষর নামে শোকজ করেন।

অধ্যক্ষ সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারায় বাবুখালি কলেজ কর্তৃপক্ষ অত্র কলেজের সভাপতি শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এক স্মারকে অত্র কলেজ থেকে ছাড়পত্রের মাধ্যমে উর্পযক্তু ধারা মোতাবেক দ্বায়িত্ব পালনের জন্য অনুরোধ করেন। এ কারনে অত্র কলেজের সভাপতি শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় শাবিএমক-৪৫২ তা০৫/০৫/০৯ স্মারকে একই সাথে দুটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা বিধি সম্মত নয় মর্মে অধ্যক্ষকে শোকজ করেন। কিন্তু অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বিশ্বাস এ কলেজ থেকে বেতন ভাতা নেন না বলে পদটি ধরে রাখেন।

ফলে অধ্যক্ষ দ্বায়িত্ব পালনের নামে একের পর এক অনিয়ম,দূর্নীতি ও অর্থআত্মসাৎ করে চলছে। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানে প্রতি বছর ৫থেকে ৭ লাখ টাকা আয় হলেও সকল প্রকার দাপ্তরিক কাগজ পত্র নিজের জিম্মায় রেখে শিক্ষকদের কোন রকম সম্মানী বা বেতন ভাতা না দিয়ে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখিয়ে এবং কলেজের বিভিন্ন খাতে সই দেখিয়ে প্রতি বছর লাখ-লাখ টাকা আত্মসাৎ করে নেন। যারফলে এলাকার শিক্ষার মানদন্ড ভাঙ্গতে বসেছে অধ্যক্ষের কারনে। শুধু তাই নয় অধ্যক্ষ কলেজের সমস্ত কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় গত ২০.০২.২০১৯ তারিখ পর্যন্তু আমরা হাজিরা খাতায় সই করতে পারি নাই। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আমরা ইতিমধ্যে কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেছি।

কলেজের শিক্ষকরা জানান অধ্যক্ষের দূর্নীতির কারনে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস হতে চলেছে। প্রতিষ্ঠানে এক ডজন শিক্ষকের পদ শূন্য থাকার পরও এবং ভোকেশনাল শাখায় দেড়শতাধিক ছাত্রছাত্রীর বিপরীতে নিয়োগ প্রাপ্তকোন শিক্ষক না থাকার পরও অধ্যক্ষ মহোদয় যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট একজন শিক্ষকেরও চাহিদা পাঠান নাই। এমতাবস্থায় ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাসেবা সুগম করতে এবং প্রতিষ্ঠানটির এমপিও ভ’ক্তির কাজ ঝুঁকিমুক্ত করতে একজন নিয়োমিত অধ্যক্ষ আমরা চাই।

অত্র কলেজের সভাপতি শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূমী মজুমদার বলেন আমি কাগজ পত্র পাই নাই। পেলেই ব্যবস্থা নিবো।

(ডিসি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test