E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শালিখা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাঘ-সিংহের লড়াই

২০১৯ মার্চ ১০ ১৫:৫০:৩১
শালিখা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাঘ-সিংহের লড়াই

মাগুরা প্রতিনিধি : পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করেছে মাগুরার শালিখা উপজেলার সর্বত্রই। নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত প্রতীক হাতে নিয়েই প্রার্থীরা জোর প্রচারে মাঠে নেমে পড়েছেন। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্তু চলছে প্রার্থীদের গনসংযোগ, উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরন ও মাইকিংয়ের সাহায্যে স্ব-স্ব প্রার্থীর জোর প্রচার প্রচারনা। ইতিমধ্যেই পোর্স্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে উপজেলার সর্বত্র।

উপজেলার সাধারন মানুষের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। চায়ের স্টল, হোটেল, রেস্তোয়ারাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট বাজারের দোকান গুলোতেও মশগুল বিভিন্ন পেশার মানুষেরা নির্বাচনী আলোচনায়। শালিখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে জিতবে এ নিয়ে শুরু হয়ে গেছে দলের নেতা কর্মী ও সাধারন মানুষের হিসাব নিকাশ।

প্রার্থীরা ছুটে বেড়াচ্ছেন দলীয় নেতা কর্মীদের সমর্থন পাওয়ার আশায় উপজেলার এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্তু। শালিখায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. শ্যামল কুমার দে নৌকা প্রতীক নিয়ে জোর প্রচারে মাঠে নেমে পড়েছেন। অন্যদিকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এ্যাড. কামাল হোসেন পিছু ছাড়ছেন না। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাঘ-সিংহে লড়াই হবে।

এ্যাড.শ্যামল কুমার দে ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। তিনি ১৯৭০ সালে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের পক্ষথেকে প্রমোদ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর পর ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ৮ নংসেক্টরে মহান মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। ১৯৮৫ সালে শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের কাউন্সিলে তৃণমূলভোটে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং অদ্যাবধি উক্ত পদে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৮ সালথেকে ২০১৮ সাল পর্যন্তু সকল জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন ।

তিনি নিজেও ২০০৯ সালে ৩য় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৪র্থ উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের নির্বাচনে তিনি স্বল্প ব্যবধানে বিজয়ী প্রার্থীর প্রতিদ্বন্ধী হন। এ্যাড.শ্যামল কুমারদে সর্ম্পকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন- তিনি একজন সফল উপজেলাচেয়ারম্যান ছিলেন। সাধারন জনগনের সঙ্গে রয়েছে তার খুবই নিবিড় সর্ম্পক। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথেও রয়েছে তার প্রতিদিনের যোগাযোগ। নানা বিভাজন, দ্বিধা দ্বন্দ্ব মধ্যেও সকল¤্রনেীর মানুষের সঙ্গে সুসর্ম্পক বজায় রেখে চলার এ রাজনীতিকের রয়েছে চমৎকার দক্ষতা।

এ্যাড. শ্যামল কুমারদে বলেন অতীত এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় তৃণমূল নেতাকর্মী, জেলা আওয়ামীলীগ ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে যোগ্য মনে করেই দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি আশাবাদী এ নির্বাচনে বিজয় লাভ করবেন।

অন্যদিকে চেয়ারম্যান পদে অপর প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ্যাড. কামাল হোসেন। তিনি আওয়ামীলীগের একজন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। কিন্তু মনোনয়ন দৌড়ে হেরে গেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে লড়ছেন এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে।

এ্যাড. কামাল হোসেন বলেন, আমাকে দলীয় মনোনয়ন না দিলেও আমি অখুশি নই। কারন নির্বাচন কমিশনে বলা হয়েছে যে কেউ প্রার্থী হতে পারবে। তাই আমি প্রার্থী হয়েছি। সাধরন মানুষ আমার সাথে আছে আমি বিপুল ভোটে জয় লাভ করবো। ফলে উপজেলার সাধারন ভোটারেরা মনে করছেন বাঘ-সিংহে লড়াই হবে এ উপজেলাটিতে।

(ডিসি/এসপি/মার্চ ১০, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test