E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

আগৈলঝাড়ায় বেপেরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর অপরাধীরা

২০১৯ মার্চ ২২ ১৬:৩৫:০১
আগৈলঝাড়ায় বেপেরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর অপরাধীরা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আগৈলঝাড়ায় কিশোর অপরাধীরা বেপেরোয়া হয়ে উঠেছে। নামকরা পরিবারগুলোর সন্তানেরা জড়িয়ে পরছে নানা অপরাধে। পুলিশের খাতায় নাম নেই এসকল কিশোর অপরাধীর। 

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলা সদরের আইসক্রীম ফ্যাক্টরীর শ্রমিক গৈলা গ্রামের সোহেল মোল্লার সাথে দেখা করতে আসে তার ছোট ভাই সিয়াম মোল্লা। সিয়াম সদরের গার্লস স্কুলের ব্রীজের উপর বসে কথা বলার সময় ফুল্লশ্রী গ্রামের জালাল ফকিরের ছেলে আনন্দ ফকিরের নেতেৃত্বে তার বন্ধু ফুল্লশ্রী গ্রামের প্রান্ত, নগড়বাড়ি গ্রামের আলতাফ খানের ছেলে বাশাল খান, একই গ্রামের রহিম ভাট্টির ছেলে হ্নদয় ভাট্টি

তার অপর তিন বন্ধু সিয়ামকে জোর করে কলেজ মাঠে ধরে নিয়ে যায়। কলেজ মাঠে সিয়ামকে মারধর করে তার মোবাইল ফোন ও নগদ ৮শ টাকা হাতিয়ে নেয়। এসময় সিয়ামকে বাড়ি যাবার জন্য ভাড়া বাবদ ১০ টাকা দেয় ওই কিশোর অপরাধীরা।

বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ শুরু হলে ওই রাতেই বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল দাস, গৈলা ইউপি সদস্য মশিউর রহমান, বাকাল সাবেক ইউপি সদস্য আসাদ খলিফাসহ ওই কিশোরদের অভিভাবকেদের নিয়ে ফুল্লশ্রী ফকিরবাড়ি মসজিদে সালিশ বসেন। ওই শালিশ বৈঠকে দোষী সাব্যস্থ হওয়ায় চার জনের প্রত্যেককে সিয়ামের মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে হাতিয়ে নেয়া টাকার জন্য ৭শ টাকা করে জরিমানা করা হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন চেয়ারম্যান বিপুল দাস। ঘটনার সাথে জড়িতরা সকলেই মাদকাশক্ত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হওয়ায় টক অফদ্যা টাউনে পরিনত হয় আলোচনায়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঝেমধ্যেই এরকম ঘটনা ঘটে আসছে। তবে যারা এসকল অপরাধের সাথে জড়িত তাদের অধিকাংশই স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী। শিক্ষা জীবনের কথা চিন্তা করে মানবিক কারণে স্থানীয়ভাবে ঘটনা মিমাংসা হওয়ায় থানায় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিপিবদ্ধ হয় না। এ কারণে এ সকল কিশোর অপরাধীদের কোন তালিকাও নেই পুলিশের কাছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয়ায় মানবিক আচরণের সুযোগ নিয়ে দিন দিন কিশোর অপরাধীদের অপরাধ প্রবণতা বেড়েই চলেছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, অপরাধকে কখননোই প্রশ্রয় দেয়া ঠিক না। কিশোর জীবনে অপরাধ করার পরেও মানবিক কারণে যারা ছাড় পায় তাদের অভিভাবকদের এটা বুঝে সন্তানদের দিকে নজর রাখা উচিত। কারণ ছোট ছোট অপরাধের মাধ্যমেই একদিন তার সন্তান বড় ধরনের অপরাধী হয়ে উঠতে পারে। তখন ওই সন্তানের জন্য পরিবারের অশান্তি আর দুর্নাম বয়ে আনার সাথে সমাজ ব্যবস্থা কলুষিত হয়। অনেক সময় এক সন্তানের জন্য গোটা পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন বলেন, বিষয়টি তাকে কেউ অবহিত করেনি। এব্যাপারে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।

(টিবি/এসপি/মার্চ ২২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test