E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রধানমন্ত্রীসহ বিত্তবানদের হস্তক্ষেপ কামনা

মুক্তিযুদ্ধে রংপুরের প্রথম শহীদের মা চিকিৎসা অভাবে মরতে বসেছেন

২০১৯ এপ্রিল ১৩ ১৮:১৪:৫৫
মুক্তিযুদ্ধে রংপুরের প্রথম শহীদের মা চিকিৎসা অভাবে মরতে বসেছেন

মানিক সরকার মানিক, রংপুর : একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদের মা দিপালী মমাজদার এখন মৃত্যু শয্যায়। প্রায় পঁচিশ উর্দ্ধ এই বৃদ্ধা তার বাড়ির উঠোনে পা পিছলে পড়লে তার একটি বাম উরুর দুটি হাড় ভেঙ্গে যায়।

চিকিৎসকের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্টিলের দু’টো হাড় সংযোজনের মাধ্যমে আপতত তাকে সারিয়ে তোলা হলেও বর্তমানে প্রায় দু’মাস যাবত তিনি বিছানায় শয্যাযায়ী। চিকিৎসকবের পরামশর্, অন্তত আরও দু’মাস তাকে বিছানাতেই থাকতে হবে। যদিও একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান তাকে একটি হুইল চেয়ার দান করেছেন। কিন্তু বিছানা থেকে নামার মত অবস্থা এখনও তার হয়নি। আর্থিক অনটনের কারণে ওষুধ পথ্যতো দুরের কথা, দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোটানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কোন আত্বীয় স্বজন কিংবা কোন হৃদয়বান ব্যক্তি ন্যুনতম সাহায্য সহযোগিতা কললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সবমিলেই চিকিৎসা অভাবে শহীদ এই মাতা এখন মৃত্যুমুখে।

’৭১ এর ৩রা মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে রংপুরের উত্তাল গণমিছিলে যোগ দেন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শংকু সমাজদার ও তার বড় ভাই কুমারেশ সমাজদার। মিছিলটি যখন রেল স্টেশন ক্রস করে শহরের দিকে ফিরছিল, তখন উর্দতে লেখা একটি সাইনবোর্ড চোখে পড়ে শংকুর। নিমিশে সাইনবোর্ডটি ছুঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে শংকু আর শরীফুল ইসলাম। ঠিক তখনই অবাঙালি সরফরাজ খান তার বাসা থেকে গুলি চালায়। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান শংকু। গুরতর আহত হন শরীফুল। যার কথা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণেও উল্লেখ করা হয়েছে। শংকুর বড়ভাই কুমারেশ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। আয় রোজগার করতে পারেন না।

দিপালী সমাজদার আগে অন্যের বাসায় পুজোর ভোগ (রান্না) এবং সেলাই ফোরণের কাজ করে কোন রকমে ছেলে তার ও স্ত্রী এবং দুই নাতি নিয়ে সংসার চালাতেন। কিন্তু বর্তমান বয়সের ভাড়ে ন্যুব্জ হওয়া এবং চোখে তেমন দেখতে না পারায় গত কয়েক বছর যাবত তাও করতে পারছেন না। ফলে ছেলের স্ত্রী একটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়ার চাকুরি নিয়ে যা পাচ্ছেন তা দিয়েই ৫ সদস্যের সংবারটিকে চালিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু সম্প্রতি শ্বাশুরির এই দুর্ঘটনায় তিনিও ভেঙ্গে পড়েছেন। একদিকে শ্বাশুরির সেবা, অন্যদিকে চাকরী। এছাড়াও বেতনের যে টাকা পান তা দিয়ে সংসার চলে না। ওষুধতো দুরের কথা। এ অবস্থায় শহীদ এই মাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশের বিত্তবান মানুষের কাছে হাত বাড়িয়েছেন চিকিৎসা খরচের জন্য। তাকে টাকা বিকাশে টাকা পাঠানোর মাবাইল নম্বর- ০১৭০৪২৪৬৯৬৮ ।

(এম/এসপি/এপ্রিল ১৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test