E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে ভিজিডি কার্ড বন্টনে রেকর্ড গড়লেন ইউপি সদস্য কুদ্দুস মোল্লা!

২০১৯ এপ্রিল ১৬ ১৭:১৪:০২
পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে ভিজিডি কার্ড বন্টনে রেকর্ড গড়লেন ইউপি সদস্য কুদ্দুস মোল্লা!

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় নিজের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ভিজিডি কার্ড বিতরণে রেকর্ড করলেন ইউপি সদস্য আ. কুদ্দুস মোল্লা। নিজের স্বজনদের মধ্যে দুঃস্থদের ভিজিডি কার্ড বিতরণে রেকর্ড গড়া এই ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে এলাকার দুঃস্থদের পক্ষে গনমাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন নাম না প্রকাশের শর্তে ওই ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা।

ধনী ও স্বাবলম্বী আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে দুঃস্থদের ভাগ্যের ভিজিডি কার্ড ভাগাভাগি করার ঘটনা ঘটেছে উপজেলার ৪নং গৈলা মডেল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড উত্তর শিহিপাশা এলাকায়।

ওই ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গৈলা মডেল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য কুদ্দুস মোল্লা চলতি অর্থ বছরে এলাকার দুঃস্থদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের রেশীয় অনুযায়ি অন্যান্য মেম্বরদের মতো তার ওয়ার্ডের দুঃস্থদের জন্য ২১টি ভিজিডি কার্ড বরাদ্দ পান। ২১টি কার্ড এলাকার হত দরিদ্র, দুঃস্থদের উপেক্ষা করে তিনি ১৩টি কার্ড নিজের চাচা, ভাতিজা, বোন, দুলাভাই, ভাগনী, বেয়াই, বেয়াইর ছেলে, চাচাতো ভাই, মামাতো ভাই, মামাতো ভাইয়ের ছেলে, মামাতো বোনের মেয়ে জামাই, মামাতো বোনের দেবরকে পর্যন্ত ভিজিডি কার্ড প্রদান করেন। মেম্বরের আত্মীয় স্বজনেরা ভিজিডি কর্ডের আওতায় এসে ইতোমধ্যেই সরকারের তিন মাসের চাল উত্তোলন করেছেন। নিজেদের মধ্যে কার্ড বন্টনের বিষয়টি চাল উত্তোলনের পর এলাকায় জানাজানি হলে দুঃস্থদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।

দুঃস্থদের পক্ষে গনমাধ্যমে লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করেন ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আশরাফ ফরিয়া। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন, ইউপি সদস্য কুদ্দুস মোল্লার বন্টন করা তালিকা অনুযায়ি সবাই তার পরিবার সদস্য ও নিকট আত্মীয় স্বজন। এলাকার অসহায় ও দুঃস্থ, সম্পদহীন, দিনমজুর, দরিদ্র ও প্রতিবন্ধি পরিবার রয়েছে উপেক্ষিত। মেম্বরের বন্টন করা ভিজিডি কার্ডধারী পরিবারের সদস্যরা বয়স্কভাতার আওতায় থেকে বিদেশে পর্যন্ত রয়েছেন, এমনকি কার্ডের নিয়ম বহির্ভূত ধনি পরিবারের ১২০ শতক জমি, টিনের দোতলা ঘর এবং পাকা বাড়িও রয়েছে তাদের। কার্ডের সুবিধা ভোগীরা কেউই দুঃস্থ নয়, সকলেই স্বাবলম্বী পরিবার।

নিয়ম কানুনে না পেলেও সরেজমিনে গিয়ে অনেক কার্ডধারীর বাড়ি গিয়ে ইউপি সদস্য কুদ্দুস মোল্লার বদৌলতে স্বজনদের ভিজিডি কার্ড পাবার সত্যতা দেখা গেছে।

ইউপি সদস্য আ. কুদ্দুস মোল্লা গৈলা ইউনিয়নের সকল ভিজিডি কার্ডের তদন্ত চেয়ে বলেন, যদি আমার কার্ড বিতরণে অনিয়ম হয় তাহলে প্রশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তিনি মাথা পেতে নেবেন।
মেম্বরের ভিজিডি কার্ড বন্টনে কিছু অনিয়ম হয়েছে জানিয়ে গৈলা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল হোসেন টিটু এ বিষয়ে কোন সংবাদ না লেখার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, কার্ড বিতরণের কোন অভিযোগ এখনও তিনি হাতে পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি দরিদ্রদের কার্ড দরিদ্রদের ফিরিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ১৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test