E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

মির্জাগঞ্জে ঝড়ে দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত, গাদাগাদি করে নেয়া হচ্ছে ক্লাস

২০১৯ এপ্রিল ১৭ ১৫:৪৬:৩২
মির্জাগঞ্জে ঝড়ে দুইটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত, গাদাগাদি করে নেয়া হচ্ছে ক্লাস

উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে দু’টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বুধবার সকালে কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ঘটকের আন্দুয়া হাজী আশ্রাফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাংশ টিনশেড ঘরটি বিধ্বস্ত ও ঝাটিবুনিয়া জে.আর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে দু’টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে ক্লাস করাতে বাধ্যে হচ্ছে শিক্ষকরা। ঘটকের আন্দুয়া হাজী আশ্রাফ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিরেন চন্দ্র শীল এ বিষেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত ভাবে জানান। 

প্রধান শিক্ষক জানান,ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিনশেড ঘরটি সম্পন্ন বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের তিনটি ক্লাশ নেয়া হতো। ক্লাশরুমগুলো বিধ্বস্ত হওয়ায় গাদাগাদি করে অন্য ক্লাশে পাঠদান করানো হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিত্বে বিধ্বস্ত বিদ্যালয়টি পরির্দন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী মোঃ সাইফুদ্দীন ওয়ালীদ। এদিকে ঝাটিবুনিয়া জে.আর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিনের চালা উড়ে গেলে বৃষ্টির সময়ে ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাশ করানো হয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন। বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয় ছুটি দিতে বাধ্য হন তিনি। বৃষ্টির পানিতে শিক্ষার্থীদের বই খাতা ভিজে যায়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী শ্রেণী কক্ষের ভিতরেই ছাতা মাথায় দিয়ে ক্লাস করায় পাঠদানের পরিবেশও ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের বেহাল দশার কারনে শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষে পাঠদানে ব্যাহাত হচ্ছে। অতি বৃষ্টিতে পাঠদান বন্ধ করে বিদ্যালয় ছুটি দিতে হয়। আবার রোদে রাস্তার পাশে গাছের ছায়ায় পাঠদান করাতে হয়। এভাবেই চলছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত ভাবে জানালেও কোন সুরাহা করতে হয়নি প্রধান শিক্ষক।

জানা গেছে, বিদ্যালয়টি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া পরে ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরে বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও ২০১৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মহাসেনও বিধ্বস্ত হয়। প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় চাঁদা তুলে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করে পাঠদান চলমান রাখা হলেও এতে শিক্ষার্থীদের সংকুলন হচ্ছে না। অন্যথায় গত ১০ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট টিনের চালার অংশটুকুও উড়ে নিয়ে যায়।

বর্তমানে বিদ্যালয়ের অবস্থা একেবারেই নাজুক। এসকল কারনে শিক্ষার্থী সংখ্যাও আশংকাজনক ভাবে কমে যাচ্ছে। বিদ্যালয়টি সংস্কার করে স্বাভাবিক পাঠদানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতা কামনা করছেন শিক্ষকগন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল জাকী বলেন, মির্জাগঞ্জে যে দু’টি বিদ্যালয় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা অতি শিঘ্রই মেরামত করার ব্যবস্থা করা হবে এবং শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে।

(ইউজি/এসপি/এপ্রিল ১৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test