E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কলারোয়া নিম্নমানের ৫৯০ বস্তা চালসহ তিন ঠিকাদার আটক

২০১৪ জুলাই ২৫ ১৪:৪৬:২১
কলারোয়া নিম্নমানের ৫৯০ বস্তা চালসহ তিন ঠিকাদার আটক

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মিল মালিকদের কাছ থেকে সংগৃহীত খাদ্যগুদামে সিলগালা করে রাখা ট্রাক ভর্তি ৫০ মেট্রিক টন নিম্নমানের বস্তাভর্তি চাল অন্যত্র পাঠানোর সময় জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা খাদ্য গুদামের সামনে থেকে এসব চাল আটক করা হয়। পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিন ঠিকাদারকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হলো, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বজলে বিশ্বাসের ছেলে নুর হোসেন (৬২) মশরুল আহম্মেদের ছেলে সামছুজ্জামান (৫০) একে ফজলুর রহমানের ছেলে কামরুল আরেফিন (৫৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে কলারোয়া খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা আলী নুর ইসলাম ৫০৮ টন চাল ডিলারদের মাধ্যমে ক্রয় করে। ক্রয়কৃত চাল সরকারের দেয়া ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআরসহ বিভিন্নখাতে বিলি বিতরনের কথা। সে মোতাবেক সম্প্রতি কলারোয়া পৌরসভসহ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে চাহিদা মোতাবেক ভিজিএফ চাল বিতরন শুরু করা হয়। বিতরনকৃত ওই চাল পচা ও নিন্মমানের হওয়ায় পৌরমেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানরা গুদাম কর্মকর্তাকে তা ফেরত দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা মিল মালিকদের কাছ থেকে অর্থিক সুবিধা নিয়ে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা নূর হোসেন ওই চাল গুদামজাত করেছেন বলে অভিযোগ করেন। এরই ভিত্তিতে গত ১৫ জুলাই কলারোয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমান গুদামে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ৬০ মেট্রিক টন চাল বিতরনের অযোগ্য বলে খাদ্য গুদাম সীলগালা করে দেন।

পরে ভিজিডির চাল বিতরনের জন্য গত ২৪ জুলাই তিনি খাদ্য গুদাম খুলে দেন। এ সুযোগে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে চাল বহনকারি ঠিকাদার নুর হোসেনের মাধ্যমে ৫০ মেট্রিক টন চাল পাটকেলঘাটা খাদ্যগুদামে পাচার করা হচ্ছিল। এসময় স্থানীয় জনতা গুদামের সামনে থেকে ট্রাক (নং-খুলনা মেট্র ট-০২-০০৭২) ভর্তি চাল আটক করে। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বহনকারি তিন ঠিকাদারকে আটক করে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সি মোফাজেল হোসেন কনব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কলারোয়া খাদ্য গুদাম থেকে খাওয়ার অযোগ্য বস্তাভর্তি ৫০ মেট্রিক টন চাল জব্দ করা হয়েছে। গুদাম কর্মকর্তা আলী নুর রহমানকে পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়েছে। আটককৃত তিন ঠিকাদারকে জিজ্ঞানাবাদ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার খাদ্য গুদাম খোলার কথা নয়। কিভাবে চাল গুদাম থেকে বাইরে গেল তা তিনি জানেন না।

কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ কুমার তালুকদার জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত কলারোয়া ওসিএলএসডি (খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা) জানান, তিনি ওই চাল পাচার করছিলেন না। সাতক্ষীরা (ডিসিফুড) জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাজাহান ভূঁইয়ার নির্দেশে পাটকেলঘাটা খাদ্য গুদামে পাঠাচ্ছিলেন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাজাহান ভূঁইয়া জানান, তিনি গত ২৪ জুলাই খাওয়ার যোগ্য ৫০ মেট্রিক টন আমন চাল পাটকেলঘাটা খাদ্য গুদামে সরবারাহ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আলীনুর ইসলাম সীলগালাকৃত পচা ও নিন্মমানের চাল পাচার করার চেষ্টা করে অপরাধ করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(আরকে/জেএ/জুলাই ২৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test