E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চাটমোহরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনের অংশ ভেঙ্গে পড়ায় শিক্ষার্থীদের গাছতলায় পাঠদান!

২০১৯ এপ্রিল ২২ ১৮:১৫:০৩
চাটমোহরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনের অংশ ভেঙ্গে পড়ায় শিক্ষার্থীদের গাছতলায় পাঠদান!

শামীম হাসান মিলন, চাটমোহর (পাবনা) : পাবনার চাটমোহর উপজেলার ৫০ নং সোন্দভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের ছাদের বিমের অংশ ভেঙ্গে পড়ে হয়ে পড়েছে। আতংক ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। 

শনিবার সকালে স্কুল শুরু হবার আগে বিমের অংশ ভেঙ্গে পরে। এসময় শিক্ষার্থীরা স্কুলে ছিলো না। জীবনহানির মতো মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।

ভবনের দুটি কক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষনা হওয়ায় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা স্কুল মাঠে খোলা আকাশের নিচে গাছতলায় লেখাপড়া করছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণেই পাঠদান করানো হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে গাছতলায়। শুধু তাই নয় স্কুলটিতে নানা সমস্যা বিরাজমান। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের সোন্দভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুল ভবনের একটি কক্ষের ছাদেও বিমের অংশ শনিবার সকালে স্কুল শুরুর আগে ভেঙ্গে পড়ে। অন্য কক্ষগুলোতেও ফাটল ধরেছে। প্রধান শিক্ষিকাসহ শিক্ষকদের বসার অফিস কক্ষটিও একই ভবনে। সেটাও ফাটল ধরেছে এবং ঝুঁকি নিয়ে অবস্থান করতে হয় শিক্ষকদের। এভাবেই দিনের পর দিন পাঠদান চলছে।

বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্কুল ভবনের সামনে খোলা মাঠে গাছ তলায় বেঞ্চে বসিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে। ১৯৪৫ সালে স্থাপিত স্কুলটি স্বাধীনতার পরই সরকারিকরণ করা হয়। এই স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২২৭ জন। ৬ জন শিক্ষক পাঠদান করান। স্কুলে নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা। নেই সীমানা প্রাচীর। বড়াল নদী পাড়ের এই স্কুলের ভবনটি এতোটাই ঝুঁকিপূর্ণ, যে কোনো মুহূর্তে ধ্বসে বড় ধরণের দূর্ঘটনা ও শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শর্মিলি খন্দকার বলেন, ‘স্কুল ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদেও অংশবিশেষ ভেঙে পড়েছে। বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীদের বাইরে গাছতলায় বসিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে। ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়েই ভবনে ক্লাস করানো হচ্ছে। অফিস রুমও এই ভবনে। শিক্ষকরাও ঝুঁকি নিয়ে অবস্থান করছে।” তিনি বলেন, ছাদ ভেঙে পড়া ও ভবনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরেজমিন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে নানা সমস্যা নিরুপণ করেছি। তবে বড় সমস্যা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানিয়েছি। আশাকরি ভবন বরাদ্দ হবে। তিনি বলেন স্লিপের ৫০ হাজার টাকা ও মেরামতের ২০ হাজার টাকা রয়েছে। সেটা দিয়ে ভবনটি সংস্কার করে কিছুদিন চালানো যায় কিনা তা দেখা হচ্ছে। খুব শিগগির এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এস/এসপি/এপ্রিল ২২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test