E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হয়রানী ও চাঁদাবাজির অভিযোগ

টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই জেসমিন আক্তারকে প্রত্যাহার

২০১৯ এপ্রিল ২৮ ২২:৪৮:২০
টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই জেসমিন আক্তারকে প্রত্যাহার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : হয়রানী ও চাঁদাবাজির অভিযোগে টাঙ্গাইল মডেল থানার এসআই জেসমিন আক্তারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার সকালে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। একইসাথে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এসআই জেসমিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার।

টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই জেমসমিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগে গত শনিবার রাতে থানা ঘেরাও করে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বেলতা গ্রামের কয়েকশ’ মানুষ। এসময় এলাকাবাসী এসআই জেসমিনের বিচার চেয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।

পরে পুলিশ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী নয়টার দিকে থানা চত্তর ত্যাগ করে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছুদিন আগে বেলতা গ্রামে একটি হত্যাকান্ড ঘটে। সেই হত্যাকান্ডের ঘটনা তদন্তের নামে টাঙ্গাইল মডেল থানার এসআই জেসমিনের সোর্স পরিচয়ে আবু বাক্কার (জেসমিন) নাম ধরে স্থানীয়দের কারো কারো কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে হত্যা মামলায় আসামী করার হুমকি দেয়া হয়। এছাড়াও গ্রামের মানুষদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। একইভাবে শনিবার বিকেলে দিকে ওই সোর্স বেলতা গ্রামের হাজী আয়নাল হোসেনের কাছে অর্থ দাবি করে। তানা হলে ওই হত্যা মামলায় তাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হবে বলে
শাসানো হয়। এ ঘটনায় গ্রামবাসী তাকে আটক করে। খবর পেয়ে এসআই জেসমিন তাকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসী তাকেও ঘিরে ধরে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের উদ্ধার করে। সন্ধ্যার পর গ্রামবাসী একত্র হয়ে জেসমিনের বিচার চেয়ে থানা ঘেরাও করে।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, জেসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাবার কারনে তাকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(আরকেপি/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test