E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

৪ লাখ টাকার বিনিময়ে ধর্ষণ চেষ্টার দফারফা, অবশেষে থানায় মামলা

২০১৯ মে ০৩ ১৬:৫০:২০
৪ লাখ টাকার বিনিময়ে ধর্ষণ চেষ্টার দফারফা, অবশেষে থানায় মামলা

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে রাতের আঁধারে এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টাকারী বিষুকে ৪ লাখ টাকায় গ্রামের কতিপয় মাতবররা ছেড়ে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের করজগ্রাম দোগাছী পাড়ায়। এ ব্যাপারে শুক্রবার থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

ওই গ্রামের মৃত কাশেম শেখের ছেলে প্রবাসী ফেরদৌস শেখ বাবুর স্ত্রী ভুক্তভোগী লায়লা বানু (ছদ্ম নাম) বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমার স্বামী জীবিকার তাগিদে প্রায় ৫বছর যাবত বিদেশে রয়েছে। আমার এক মেয়ে সবেমাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছে আর একটি ছেলে মাধ্যমিক পর্যায়ে পড়ছে। দীর্ঘদিন যাবত একই গ্রামের হারান সরকারের ছেলে দুই সন্তানের জনক বিষু সরকার আমাকে কুপ্রস্তাব এবং নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। এর আগেও সে আমার শ্লীতাহানীর চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু মঙ্গলবার দিনগত রাত অনুমান ৯টার সময় আমার ছেলে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য ঘরের বাইরে গেলে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা বিষু সবার অজান্তে চুপ করে আমার শোবার ঘরে প্রবেশ করে। পরে ছেলে ও মেয়ে মাটির বাড়ির দোতলায় পড়ার জন্য উঠে গেলে বিষু অতর্কিত ভাবে আমার মুখ ও দুই হাত চেপে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করে।

এসময় আমি তাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে কৌশলে ঘরের বাহিরে এসে দরজা বন্ধ করে চিৎকার করলে আশেপাশের মানুষ ও গ্রামের কতিপয় মাতবররা এসে সকালে বিচার হবে বলে তাকে ছেড়ে দেয়। সুবিচার পাওয়ার আশায় বিষয়টি আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাই। কিন্তু বেশ কদিন পার হলেও আজ পর্যন্ত আমি কোন সুবিচার পাইনি। আজ-কাল বিচার হবে বলে চেয়ারম্যান ও মাতবররা কালক্ষেপন করছেন।

আমি লোক মারফত শুনতে পাচ্ছি যে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয় ইউপি সদস্য গফুর, গ্রামের মাতবর জাহাঙ্গির, হেলাল, জব্বার, ছাত্তারসহ আরো অনেকেই বিষয়টি আমার সঙ্গে রফাদফা করার নামে বিষুর পরিবারের কাছ থেকে ৪লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ আমার কাছে বিষয়টি রফাদফা করার জন্য আসেনি এবং কবে বিচার হবে সেই বিষয়েও কেউ কোন কিছু বলছে না। আমার শ্বশুর মারা গেছেন। বাড়িতে কোন পুরুষ লোক নেই। শুধুমাত্র রয়েছে আমার দুই সন্তান ও বয়স্ক শ্বাশুড়ি। তারা যতই আমাকে হুমকি-ধামকী প্রদান করুক, আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

শুক্রবার স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাবলু মুঠোফোনে বলেন, গ্রামের মাতবররা বিষয়টি মিটমাট করেছে।এবিষয়ে আমি আর মুখ খুলতে চাচ্ছিনা।

রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শুক্রবার এব্যাপারে ভিকটিম বাদী ামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।

(বিএম/এসপি/মে ০৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test