E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হুমকির মুখে ৫ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ

সাতক্ষীরায় ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি

২০১৯ মে ০৪ ১৯:০৮:৫০
সাতক্ষীরায় ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ঘুর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকুলীয় অঞ্চলের প্রায় ৬’শ কাঁচা ঘর-বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া জেলায় ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমি এবং শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার প্রায় ৫ কিলোমিটার বেঁড়িবাধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা প্রশাসন।  তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, তার ইউনিয়নে শতাধিক ঘরবাড়ির আংশিক টিনের চাল উড়ে গেছে।

এদিকে, শ্যামগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের গাইনবাড়ি আশ্রয় কেন্দ্রে আয়না মতি বিবি (৯২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত শেখ কওছার আলীর স্ত্রী। রাতে তিনি আশ্রয় কেন্দ্রে উঠার পর অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।

অপরদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর কুড়িকাউনিয়া ও প্রতাপনগর এবং দেবহাটা উপজেলার খানজিয়া নামক স্থানে ইছামতী নদীর বেঁড়িবাধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে।

এদিকে, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ও পদ্মপুকুরের কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বেঁড়িবাধ ভাঙনের আতংকে রয়েছে উপকুলীয় এলাকাবাসী। দাঁতিনাখালি বেড়িবাঁধটি সংস্কার করা হচ্ছে।

শনিবার সকাল থেকে উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগরসহ কিছু কিছু এলাকায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে মানূষ নিজ গৃহে ফিরতে শুরু করেছেন বলে জানিয়ে ছেন গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা ডুমুরিয়া গ্রামের মনতাজ তরফদার (৯৫), রুস্তুম আলী তরফদার(৮০) ও নাজমুন্নাহার(২৫)। সেখানে আবহাওয়া এখন অনেকটা শান্ত রয়েছে।

তবে সেখানকার আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে রাতে সুপেয় পানি ও শুকনা খাবারের অভাব দেখা দেয় বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। গাবুর ইউপি চেয়ারম্যান জিএম মাসুদুল আলম ও পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. আতাউর রহমানের মতে তাদের দু’ ইউনিয়নে প্রায় ১০০টি কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

তবে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উপকুলীয় অঞ্চলের প্রায় ৬০০ কাঁচা ঘর-বাড়ি আংশিক বিদ্ধস্ত হয়েছে। এছাড়া জেলায় ২ হাজার হেক্টর ফসলি জমির এবং শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ৫ কিলোমিটার বেঁড়িবাধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরো জানান, দূর্যোগ কবলিত মানুষের মাঝে ইতিমধ্যে ২৭’শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ১১ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণ নির্মাণে ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ১৬০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে এখনও দুর্যোগ কবলিত মানুষ অবস্থান করছেন।

(আরকে/এসপি/মে ০৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test