E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আদালত বালু উত্তোলন বন্ধ করলেও ফের শুরু, উঠছেনা ড্রেজার মেশিন!

২০১৯ মে ০৫ ১৭:১৭:৫৯
আদালত বালু উত্তোলন বন্ধ করলেও ফের শুরু, উঠছেনা ড্রেজার মেশিন!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মহাদেবপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আত্রাই নদীর মহিষবাথান ঘাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বালু উত্তোলন বন্ধ করলেও উঠছেনা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিনগুলো। সুযোগ পেলেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। দীর্ঘদিন বালু উত্তোলনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মারাত্মক হুমকীর মুখে পড়লেও বালু দস্যুরা ২-৪ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বীরদর্পে বালু উত্তোলন করছে। তাই তারা সুকৌশল অবলম্বন করে আপাতত বালু উত্তোলন বন্ধ করলেও তুলছেনা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন।

বালু লুটপাট মহোৎসবে প্রতিদিন শতশত বালুবাহি গাড়ী বা ট্রাক বেপরোয়া চলাচলে নষ্ট হচ্ছে এলাকার রাস্তাঘাট। নদীর তলদেশ গর্ত করে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ ফসলী জমি।

এলাকাবাসী জানায়, বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর শুক্রবার (৩মে) উপজেলা নির্বাহী অফিসার থানা পুলিশ সংগে নিয়ে মহিষবাথান ঘাটে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন। কিন্তু নদী থেকে ড্রেজার মেশিন তুলে ফেলা হয়নি। দু’একদিন পর তারা আবারও বালু উত্তোলন শুরু করবে এবং কোন কোন এলাকায় শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী বালু উত্তোলন বন্ধসহ নদী থেকে ড্রেজার মেশিন তুলে ফেলার দাবী জানিয়েছেন।

এভাবে মহিষবাথান ঘাটে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে এলাকাবাসী মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে। বালুদস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় কাউকে তোয়াক্কা করছে না। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, সারা দেশে বিভিন্ন নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে। বগুড়া করতোয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন পুড়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। তাহলে এখানকার প্রশাসন কি করেন। শুধু লোক দেখানো ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে কোন ফল হবে না।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোন মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাইবে না। ধারা ৪ (খ) অনুযায়ী সেতু কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন সরকারী ও বেসরকারী স্থাপনা হইলে অথবা আবাসিক এলাকা হইতে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা যাইবে না। কিন্তু বালু দস্যুরা কোন নীতিমালার তোয়াক্কা করে না।

এলাকাবাসী নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন তুলে ফেলাসহ বাঁধ ভাঙ্গনের কবল থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বালু তোলার কাজে জড়িত কয়েকজন শ্রমিক জানান, প্রশাসনের লোকজন অভিযানে আসার আগেই এলাকায় খবর পৌঁছে যায়। এ কারণে কর্মকর্তারা আসার আগেই ব্যবসায়ীরা কিছু মেশিন সরিয়ে নেয়। অভিযানের পর সুযোগ বুঝে আবার বালু তোলা অব্যাহত রাখা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছি এবং ঘর দরজা যা ছিল ভেঙ্গে দিয়েছি। তারা যদি ফের বালু তোলা শুরু করে তাহলে আবারো অভিযান চালানো হবে।

(বিএম/এসপি/মে ০৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test