E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুষ্মিতা ধর্ষণ-হত্যা : জয়প্রকাশের নামে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল

২০১৯ মে ০৮ ১৯:৩২:৫৮
সুষ্মিতা ধর্ষণ-হত্যা : জয়প্রকাশের নামে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ধর্ষণের পর দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী সুষ্মিতাকে হত্যা করে সেফটি ট্যাঙ্কির মধ্যে লুকিয়ে রেখে লাশ গায়েব করার চেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতে  পৃথক দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক হাসানুজ্জামান মঙ্গলবার আদালতে এ দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখিত আসামীর নাম জয়দেব সরকার(১৭)। সে আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামের নির্মল সরকারের ছেলে ও বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।

নিহত সুষ্মিতা দাশ আশাশুনি উপজেলার গাবতলা গ্রামের প্রশান্ত দাশের মেয়ে ও গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

মামলার বিবরণে জানা যায় চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জয়প্রকাশ সরকারের কাছে প্রাইভেট পড়তে আসে প্রতিবেশি দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সুষ্মিতা দাশ। সুস্মিতার ছোট বোন সোমা দাশকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় জয়প্রকাশ। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রাত সোয়া সাতটার দিকে সুস্মিতাকে বাড়ির পিছনে সবজি খেতে নিয়ে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সে। পরে তার লাশ বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে ওই লাশ তুলে বাড়ির পিছনে সেফটি ট্যাঙ্কির ভিতরে লুকিয়ে রাখে। রাতে লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ জয়প্রকাশকে গ্রেফতার করে তার বাড়ি থেকে। এ ঘটনায় মৃতের মা অম্বলিকা রানী দাশ বাদি হয়ে জয়প্রকাশের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। জয়প্রকাশ নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করে ৮ জানুয়ারি বিচারিক হাকিম বিলাস মণ্ডলের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। কিশোর অপরাধী হওয়ায় বর্তমানে জয়প্রকাশ যশোরের পুলেরহাট শেল্টার হোমে রয়েছে।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক হাসানুজ্জামান চার মাস ধরে তদন্ত শেষে এজাহারভুক্ত জয়প্রকাশের নামে আদালতে দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১৪জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। প্রথম অভিযোগপত্রটি (৮৫নং) ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় ও দ্বিতীয় অভিযোগপত্রটি ৮৫(ক) অপরাধের সাক্ষ্য প্রমান বিলোপ করার জন্য সেফটি ট্যাঙ্কিতে ফেলে লাশ গুম করার চেষ্টার দায়ে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায়।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু জানান, কিশোর আইনে এ বিচার সম্পন্ন হবে।

(আরকে/এসপি/মে ০৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test