E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বয়রাগাদী ইউনিয়ন  উচ্চবিদ্যালয়ের গাছ কাটা ও জায়গা দখলের অভিযোগ

২০১৯ মে ০৯ ১৯:০৮:৫৪
বয়রাগাদী ইউনিয়ন  উচ্চবিদ্যালয়ের গাছ কাটা ও জায়গা দখলের অভিযোগ

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলায় সরকারদলীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে  বয়রাগাদী ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের লাগানো প্রায় ১১ হাজার টাকা মূল্যের ২টি গাছ কেটে নেওয়ার  ও জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। বে-আইনিভাবে গাছ কাটার জন্য সমালেচিত হচ্ছে আওয়ামীলীগ যুবলীগ সদস্যের কর্মকান্ডও। 

বৃহস্পতিবার সিরাজদিখান থানাকে দেওয়া বিদ্যালয় ম্যানেজিংকমিটর সদস্য ,প্রধান শিক্ষক ও এলাকাবাসীর একটি লিখিত অভিযোগ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। ওই লিখিত অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)এবং সিরাজদিখান উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদকের কাছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান।

ওই লিখিত অভিযোগে বলা হয়, সিরাজদিখান উপজেলার বয়রাগাদী গ্রামের মোঃ আলী হোসেনর ছেলে আলমগীর(৩২),সুজন(২৮),মিজানুর রহমান(৩৫) বয়রাগাদী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের রোপনকৃত একটি মেহগনি ও একটি আকাশী গাছ প্রাভাব খাটিয়ে জোড় করে কেটে নেয় এবং স্কুলের উত্তর পার্শ্বে টিনকাঠের ঘড় নির্মানের চেষ্টা করে।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সেন্টু বলেন, গাছটি প্রায় দেড় মাস আগে গোপনে কাটা হয়। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১১ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীর বলেন, বরাগাদীর বাবুরা আমার দাদা মৃত শেখ কালুর নিকট ১ একর ৪৭ শতাংশ জায়গা দলিল করে লিখে দিয়েছেন। দলিলের কারনে আমরা সেই জায়গার মালিক। আর গাছগুলো আমাদের লাগানো তাই আমরা গাছ কেটে নিয়েছি।

বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আলাউদ্দিন বলেন, স্কুলের জায়গা নিয়ে আলমগীরদের সাথে যুগ্ম জেলা জজ ২য় মহামান্য আদালতে ৪৭৮৯/২০১৩ নং মামলা রয়েছে এবং নালিশি ভ’মিতে দুই পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন, তথাপি আলমগীর ও তার ভাইয়েরা এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের মূল্যবান গাছকেটে জায়গা দখলের পায়তারা করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল ওয়াহিদ মোঃসালেহ গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে মুঠোফোনে সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি আমি এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসফিকুন নাহার স্যারের সাথে কথা বলবো।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসফিকুন নাহার বলেন, আমি মৌখিক অভিযোগ শুনেছি, আদালত নালিশি ভ’মিতে দুই পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করলে তা মানতে হবে । আমি শুনেছি থানায় অভিযোগ করেছেন, আমারা লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখবো।

(এসডিআর/এসপি/মে ০৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test