E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাগরপুরে সংস্কারের নামে খেলার মাঠের বেহাল দশা

২০১৯ মে ১৯ ১৬:১৮:৪৭
নাগরপুরে সংস্কারের নামে খেলার মাঠের বেহাল দশা

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ ধুবড়িয়া ছেফাতুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠ। যা স্থানীয় ভাবে ধুবড়িয়া মাঠ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক খোরশেদ আলম বাবুল, বিপিএল মাতানো র্হাড হিটার ব্যাটসম্যান নাজমুল হক মিলন এই মাঠেরই খেলোয়ার। অথচ মাঠ সংস্কারের নামে প্রায় তিন মাস ধরে এই মাঠের সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। রমজান মাসের জন্য স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় বিকাল হলে ছোট থেকে বড়রা ছুটে আসে খেলার মাঠে। ফুটবল, ক্রিকেট খেলা ছাড়াও শরীর চর্চা করতে আসে বিভিন্ন বয়সের লোকজন। বৃদ্ধরা বিকেলে মাঠে বসে প্রাকৃতিক পরিবেশে বসে তাদের প্রাণ জুড়ান।

কিন্তু প্রায় তিন মাস যাবৎ টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ধুবড়িয়া খেলার মাঠটি এখন অযন্ত আর অবহেলায় পড়ে আছে। ১৭-১৮ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯ টন খাদ্যের বিনিময়ে মাঠটি সংস্কারের কাজের কর্মসূচী দেয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। পুরানো ঐতিহ্যবাহী মাঠটির বিভিন্ন স্থানে বন্যা ও বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারনে মাঠটি মেরামত করার জন্য তৎকালিন তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. তারানা হালিম প্রকল্পটি বরাদ্দ দেন। এখন মাঠ মেরামতের নামে চলছে নানা অনিয়ম। মাঠের বিভিন্নস্থানে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ফেলে স্তুপ করে রেখেছে প্রকল্পের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের বিভিন্ন স্থানে মাটির বড় বড় স্তুপ পড়ে আছে। মাঠে নেই কোন ক্রীড়ামোদী। মাঠের এক কোণে ছোট ছোট বাচ্চারা ফুটবল খেলছে। তারা জানায় মাঠের এই অবস্থায় তাদের খেলাধুলা করতে অসুবিধা হচ্ছে। প্রকল্প নিয়ে মাঠ ভরাটের কাজ ধীরগতিতে চলায় কবে নাগাদ তারা মাঠ ফিরে পাবে তা কেউ বলতে পারছে না। ধুবড়িয়ার সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজও এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। তাই দ্রুত কাজ শেষ করতে না পারলে ঈদের নামাজ নিয়েও অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

অনেকেই অভিযোগের সূরে বলেন, প্রায় তিন মাস যাবৎ আমরা এই মাঠে কোন রকম খেলাধূলা করতে পারছি না। মাঠের এমন চিত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তুলে ধরে র্উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না। মাঠে খেলাধুলা না করতে পেরে এখন আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ তারা যেন দ্রুত খেলার মাঠটি সংস্কার করে খেলাধুলার উপযোগী করে দেন।

প্রকল্পের সভাপতি শাহাবুল আলম দুলাল বলেন, আমি এ প্রকল্পের সভাপতি থাকায় এ পর্যন্ত সোয়া পাচঁ টন মাল উত্তোলন করে সে মোতাবেক মাটি ফেলেছি বরাদ্দকৃত বাকি মাল পেলে কাজ সম্পন্ন করবো।
এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেগম শাহীন জানান প্রকল্পের যে পরিমান মাল ছাড় দিয়েছি সেটেুকু কাজ তিনি এখন পর্যন্ত সেই কাজ সম্পন্ন করেনি তাই পরের কিস্তির মাল ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই এর সমাধান করতে পারবো।

(আরএসআর/এসপি/মে ১৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test