E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ব্যবসায়ীর আঙুল কর্তনের ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল

২০১৯ মে ১৯ ১৮:১৬:২৬
ব্যবসায়ীর আঙুল কর্তনের ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী জিএম তুষার হোসেনের আঙুল কেটে নেয়ার ঘটনায় কলোরোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইসসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তুষারের চাচা আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ রেজাউল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।

উল্লেখ্য, জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে কলারোয়া বিশ্বাস মার্কেটের সামনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইসের নেতৃত্বে ৫/৭জন যুবক এলোপাতাড়িভাবে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জিএম তুষারকে কুপিয়ে ৪টি আঙুল বিচ্ছিন্ন করে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে তাকে প্রথমে সাতক্ষীরা পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় তুষারের চাচা আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে এ ঘটনার জেরে শনিবার রাতে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেছে জেলা ছাত্রলীগ। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছেন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অপরাধিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে যাতে আইনের আওতায় আনা হয় সে ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মামলার বাদি আবু ছিদ্দিক বলেন, শনিবার তুষারের উপর যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তাতে বড় ধরণের হত্যার মিশন ছিল। হাত দিয়ে থেকানোর ফলে বেঁচে গেছে। অভিযোগে বর্ণিত আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি প্রশাসনের কাছে। কোন মায়ের সন্তানের উপর যেন এ ধরণের হত্যার চেষ্টা না হয় দাবি আবু ছিদ্দিকির।

কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর ইসলাম লাল্টু বলেন, ১৮ মে কলারোয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে তাতে থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মামলার উল্লেখিত আসামী সন্ত্রাসী বাবুসহ যাতের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তুষার একজন নিরীহ ভাল মানুষ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা।

কলারোয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান এ মামলায় রেজাউল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। আসামী যেই হোক না কেন দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।

(আরকে/এসপি/মে ১৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test