E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাগরপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক রহমান গ্রেফতার

২০১৯ মে ২১ ১৭:৪৩:৩৭
নাগরপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক রহমান গ্রেফতার

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৯ম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রী (১৪) কে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহার নামীয় ধর্ষক আতিকুর রহমান ওরফে রহমান (৩৬) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২০ মে) রাতে গাজীপুর জেলার কড্ডা বাজার থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নাগরপুর থানায় নিয়ে আসে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে ধর্ষক রহমানকে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করে। সে পাছ ইরতা গ্রামের ওয়াজেদ আলী খানের ছেলে। নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাদঁ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) নাগরপুর থানার এসআই মো. শাহাজাহান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ধর্ষক রহমানের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে পাছ ইরতা গ্রামের খন্দকার রহুল আমিনের মেয়ে ৯ম শ্রেনীর ছাত্রীকে বাইকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী সারাংপুর গ্রামের নির্জন মাঠে জোরপূর্বক ধর্ষন করে রহমান। পরে ২২ এপ্রিল ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে। এরপর থেকে ধর্ষক রহমান গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করে।

উল্লেখ্য উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের পাছ ইরতা গ্রামের খন্দকার রহুল আমিনের মেয়ে ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী (১৪) পাশের বাড়ীর এমদাদ মাষ্টারের ভবনের নির্মাণ শ্রমিক মাসুদকে সাথে নিয়ে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাড়ীর সামনে পাকা রাস্তায় ঘুরতে বের হয়। কিছু দূর যাওয়ার পর একই গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে আব্দুর রহমানের সাথে তাদের দেখা হলে বেড়ানোর কথা বলে রহমান ওই স্কুল ছাত্রী ও মাসুদকে বাইক যোগে সারাংপুর নিয়ে যায়।

এরপর মাসুদকে ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে রহমান ওই মেয়েটিকে জোর করে সারাংপুর চকে (মাঠ) নিয়ে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ধর্ষিতাকে উদ্বার করে। পরবর্তীতে থানার এক সোর্সের যোগসাজশে উদ্বারকারী ওই ছয় যুবককেও এ মামলায় আসামী করা হয়।

(আরএস/এসপি/মে ২১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test