E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গৌরীপুরে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু হয়নি, কৃষকরা নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত

২০১৯ মে ২২ ১৯:০৭:৪২
গৌরীপুরে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু হয়নি, কৃষকরা নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়নি এখনো। কৃষকরা ধান নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছে। খাদ্যগুদামে ঠাঁই নেই, চালে ভর্তি গুদাম; ক্রয় করা যাচ্ছে না ধান। ফলে কৃষকরা ধানের নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। খাদ্যগুদামগুলোতে ধারণ ক্ষমতার বেশী চাল মজুদ থাকলেও শুরু হয়েছে মিলারদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান।

গৌরীপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসরাত আহমেদ জানান, এ গুদামের ধারণ ক্ষমতা ১এক হাজার ৫শ মেট্রিক টন। বর্তমানে চাল রয়েছে প্রায় ২হাজার ২২ মেট্রিক টন। যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ৭শ ২২ মেট্রিক টন বেশী। তবে ধান আর গম নেই। শ্যামগঞ্জ খাদ্যগুদামের ধারণ ক্ষমতা ৩হাজার মেট্রিক টন। এ গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ রিচি জানান, চাল রয়েছে ৩হাজার ২১৯ মেট্রিক টন। যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ২১৯ মেট্রিক টন বেশি। তবে এই মূহুর্তে ধান বা গম নেই।

উপজেলা ধান-চাল সংগ্রহ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ ছাইদুর রহমান জানান, এ মৌসুমে গৌরীপুরে সিদ্ধ চাল ৬হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন, আতপ চাল ৫৫৪ মেট্রিক টন ও ধান ৬০৫ মেট্রিক টন সংগ্রহের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার (১৪ মে) চাল সংগ্রহ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি। তবে গুদামে ঠাঁই না থাকায় ধান সংগ্রহ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে গৌরীপুরে উফশী জাতের ১৪হাজার ৬৯৫ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৫হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। ধান উৎপাদন হবে প্রায় ৮৭হাজার মেট্রিক টন। উপজেলায় কার্ডধারী কৃষকের সংখ্যা ৬২হাজার ৯৫৬জন। কৃষকের নিকট থেকে ধান বেশী বেশি ক্রয় করলে কৃষকরা উপকৃত হতো।

উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি ইউএনও ফারহানা করিম জানান, কমিটির মিটিং হয়েছে। প্রকৃত কৃষকদের নিকট থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ধান ক্রয়ও শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ কৃষক সমিতি গৌরীপুর শাখার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফুর রহমান ধান ক্রয় শুরু না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলায় প্রায় ৬৩হাজার কৃষকের উৎপাদন করছে ৮৭ হাজার মেট্রিকটন ধান। আর সরকারের ক্রয় বরাদ্দ ৬০৫ মেট্রিকটন, এটা কৃষকের সঙ্গে সরকারের তামাশা। গড়ে ১জন কৃষক মাত্র ১০ কেজি ধান বিক্রি করতে পারবে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ ছাইদুর রহমান জানান, প্রতিটি ইউনিয়ন অনুয়ায়ী বিভাজন করে বরাদ্দকৃত ধান সংগ্রহ করা হবে।

(এস/এসপি/মে ২২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test