E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পাথরঘাটায় কোস্টগার্ডের মাঝি ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ

২০১৯ মে ২৬ ১৬:৪৫:২৭
পাথরঘাটায় কোস্টগার্ডের মাঝি ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ

অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : কোস্টগার্ডের মাঝি পরিচয় দিয়ে এবং কোস্টগার্ডের নাম ব্যবহার করে জেলেদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা নেওয়াসহ জেলেদের হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের মাঝি ইলিয়াস ও তার ভাই জহিরের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পদ্মা গ্রামের মো. আবদুর রহমান সিদকারের ছেলে মো. ইলিয়াস ও তার ফুফাত ভাই একই এলাকার বাসিন্দা মো. বাবুল মিয়ার ছেলে মো. জহির পাথরঘাটা স্টেশনের কোস্টগার্ডের ট্রলারের মাঝি হিসেবে দীর্ঘ দিন যাবৎ কাজ করে আসছে। ইলিয়াস ও জহির কোস্টগার্ডের সাথে থাকার সুবাদে কোস্টগার্ডের নাম ব্যবহার করে জেলেদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা নেওয়াসহ জেলেদের হয়রানি করে আসছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, পদ্মা ও রুহীতাসহ পাথরঘাটা উপজেলায় বেহুন্দি ও চিংড়ি জাল নামে ছোট ফাসের জালের সহাস্রাধিক মৎস্য শিকারি রয়েছে। ওই সকল জাল আইনিভাবে অবৈধ হওয়ায় উল্লেখিত ইলিয়াস ও জহির প্রতি জেলের কাছ থেকে মাসে ৪ থেকে ৫হাজার টাকা করে জেলের কাছ থেকে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছে এবং যেসকল জেলেরা টাকা দিতে অক্ষম কোস্টগার্ডকে ব্যবহার করে ওই সকল জেলেদের জাল পুড়ে ফেলছে। অনেক সময় জালগুলো তুলে এনে গোপনে অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে আসছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায় ইলিয়াস ও জহিরের ভাই, চাচা, খালুসহ একাধিক আত্মীয় স্বজন অবৈধ জাল দিয়ে ছোট মাছ নিধন করে আসলেও কোন দিন ওই সকল ব্যক্তিদের জাল পোড়ানো হয়নি।

এব্যাপারে পদ্মা গ্রামের কমলা বেগম, হানিফ ঘরামি, রত্তন প্যাদার ছেলে ইদ্রিস প্যাদা, হোচেন ঘরামির ছেলে মোস্তফা ঘরামিসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ইলিয়াস ও জহির কোস্টগার্ডের সাথে থেকে কোস্টগার্ডকে ব্যবহার করে পাথরঘাটা উপজেলার জেলেদেরকে জিম্মি করে ফেলছে। ইলিয়াস ও জহির কোস্টগার্ডের নাম ব্যবহার করে দীর্ঘ দিন যাবৎ চাঁদাবাজী করে আসলেও কোস্টগার্ড ইলিয়াস ও জহিরের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় কোস্টগার্ডকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এব্যাপারে ইলিয়াসের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছোট ফাসের জাল দিয়ে অনেকেই মাছ শিকার করে, তেমনি আমার আত্মীয়স্বজনরাও মাছ শিকার করে। অপর অভিযুক্ত জহিরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার জহিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উল্লেখিত ইলিয়াস ও জহিরের বেপারে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে। তবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পদ্মা সুলিজের আনিচ ও আলম ফিটার এর নামে ব্যাপক অভিযোগ আছে। তারা নাকি আমাদের নাম ব্যবহার করে সাধারণ জেলেদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে আমারা ক্ষতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।

(এটি/এসপি/মে ২৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test