গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষ শূণ্য দূর্গাপুর গ্রাম

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : পুরুষ শূণ্য কেন্দুয়ার দূর্গাপুর গ্রাম। নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক ও শিক্ষক হাবিবুর রহমান মুসলেম সহ পাল্টাপাল্টি দুটি মামলার আসামী ৭৬ জন। ওই দুটি মামলার আসামীরা পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। ফলে পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামটি। 

আধিপত্য বিস্তার ও বৈশাখ মাসের ধান কাটার শ্রমিকের টাকা দেয়া নেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ওসমানগণীর গ্রুপের লোকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়। সংঘর্ষে আহতরা কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হলে শফিকুল ইসলাম গ্রুপের লোকেরা হাসপাতালে গিয়েও প্রতিপক্ষের আহত রোগীদের ওপর হামলা চালায়।

পরে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ১৭ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতরা এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। সংঘর্ষের ঘটনায় গত শুক্রবার নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ওসমানগণি বাদী হয়ে নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অপর দিকে ওই দিনই ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম গ্রুপের সদস্য নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় অপর পাল্টা মামলা করেন।

একটি মামলার বাদী ওসমানগণি জানান, পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়েরের পর পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে দুই মামলার আসামীরাই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, দুই মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পুলিশী গ্রেফতার এড়াতেই মামলার আসামীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে।

(এসবি/এসপি/জুন ১৭, ২০১৯)