E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঝিনাইগাতীতে ধর্ষণে বাঁধা দিতে গিয়ে এক আদিবাসী নিহত

২০১৪ জুলাই ২৮ ১৪:২২:০৪
ঝিনাইগাতীতে ধর্ষণে বাঁধা দিতে গিয়ে এক আদিবাসী নিহত

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ডেফলাই গ্রামে ধর্ষণে বাধা দিতে গিয়ে এক আদিবাসী নিহত হয়েছে। সোমবার ভোর ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সুবল হাজং (৫৫)। ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত আবু সঈদ পালিয়ে যায়।

এদিকে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল আদিবাসীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে সালিশের কথা বলে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আদিবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সোমবার ভোররাত তিনটার দিকে ঝিনাইগাতীর ডেফলাই গ্রামের সুবল হাজংয়ের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ঘরের বাইরে বের হয়ে আসে। এসময় প্রতিবেশী গেদু মিয়ার ছেলে রিক্সাচালক আবু সাঈদ (৪৫) তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার ডাক চিৎকারে ভাসুর সুবল হাজং এগিয়ে এসে আবু সাঈদকে ঝাপটে ধরে। এসময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই সুবল হাজং মারা যায়। সুযোগ বুঝে ধর্ষণ চেষ্টাকারী আবু সাঈদ পালিয়ে যায়।

এদিকে, ধর্ষণ চেষ্টা ও হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল তৎপরতা শুরু করে। তারা আবু সাঈদকে মাতাল ছিল উল্লেখ করে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সুবল হাজং উত্তেজিত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মারা গেছে বলে দাবি করে। ঘটনাটিকে সালিশ-মিমাংসার কথা বলে ধামাচাপা দিতে তৎপরতা চালায়। এজন্য স্থানীয় আদিবাসীদের তারা ভয়ভীতিও প্রদর্শন করে।

ঝিানাইগাতী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি নবেশ খকসী জানান, ঘটনাটি স্পর্শকাতর। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার জন্য আামদের ওপর চাপ রয়েছে। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।

ঝিনাইগাতী থানার ওসি বলেন, ঘটনাটি শুনার পর আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের চেষ্টা করছি। কিন্তু আদিবাসীদের একটি অংশ লাশ নিয়ে আসতে দিতে চাচ্ছে না। তারা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের দাবি জানাচ্ছে। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে মামলা হবে।

(এইচবি/জেএ/জুলাই ২৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test