E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তিন নদীর ভাঙনে দিশেহারা বাবুগঞ্জবাসী

২০১৯ জুলাই ০২ ১৮:২৯:০৮
তিন নদীর ভাঙনে দিশেহারা বাবুগঞ্জবাসী

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার মধ্যদিয়ে বহমান রাক্ষুসী সন্ধা, সুগন্ধা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে নদী তীরবর্তী শত শত ঘরবাড়ি, আবাদী জমি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এতে করে নিঃস্ব হয়েছে পথে বসেছে শত শত পরিবার।

নদী ভাঙনে প্রতিনিয়তই বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন ভাঙ্গন কবলিত পরিবারের সদস্যরা। গত ছয় মাসে নদী গর্ভে বিলিন হওয়ায় বাবুগঞ্জের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে সৈয়দ মোশারফ-রশিদা একাডেমী, আবুল কালাম কলেজ সংযোগ সড়কসহ বেশ কিছু স্থাপনা, বসতবাড়ি, আবাদী জমি, দোকান ঘরসহ কয়েক একর ফসলী জমি ও ফলদ বৃক্ষ।

এছাড়া ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (দোয়ারিকা) সেতু, মহিষাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজ, জামেনা খাতুন মাধ্যামিক বিদ্যালয়, পূর্ব ক্ষুদ্রকাঠি গ্রাম, চরসাধুকাঠি মাদ্রাসা, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্মৃতি জাদুঘর, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বাবুগঞ্জ বাজার, মীররগঞ্জ ফেরীঘাট ও বাজারসহ বেশকিছু সরকারী-বেসরকারী স্থাপনা।

অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে চলতি মৌসুমের প্রথমদিকে উপজেলার বেশ কয়েকটি বসত ঘরসহ আবাদি জমি গ্রাস করে নিয়েছে রাক্ষুসী সুগন্ধা নদী। ইতোমধ্যে এসব ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিম এমপি, বরিশাল-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ গোলাম কিবরিয়া টিপুসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ভাঙন প্রতিরোধে এরইমধ্যে জিওব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ভাঙ্গনের অবস্থা এখন এতোটাই তীব্র আকার ধারন করেছে যে, প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। স্থানীয়দের দাবী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে অচিরেই ভাঙন কবলিত এলকায় প্রতিরোধে কাজ শুরু না করলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বাবুগঞ্জ উপজেলার নদী তীরবর্তী অসংখ্য গ্রাম।

এ ব্যাপারের স্থানীয় সাংসদ আলহাজ গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, বাবুগঞ্জ ও মুলাদী অঞ্চলের নদী ভাঙন প্রতিরোধে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, বাবুগঞ্জের পাঁচটি পয়েন্টে ভাঙন প্রতিরোধে প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম নিজেই দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ভাঙন প্রতিরোধে ওইসবস্থানে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলানো হচ্ছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মান করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

(টিবি/এসপি/জুলাই ০২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test