E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাপাসিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় হয়রানীর শিকার এক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

২০১৯ জুলাই ০৫ ১৫:৪২:৫২
কাপাসিয়ায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় হয়রানীর শিকার এক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : গাজীপুরের কাপাসিয়া বাজারের মরহুম ডাক্তার মোতাহার উদ্দিনের একটি দোকান ঘরকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট মামলায় হয়রানীর শিকার হয়ে তাঁর পরিবারের পক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে কাপাসিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলণ করেন। সংবাদ সম্মেলণে কাপাসিয়া বাজারের মামলাবাজ তাপস বনিকের  মিথ্যা ও সাজানো  প্রতিমা ভাংচুর , মন্দিরের ক্ষতিসাধনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে  পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোবায়ের আহমেদ আশিক।  

লিখিত বক্তব্যের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের বাঘিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও তরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মরহুম ডাঃ মোতাহার উদ্দিন ১৯৮৩ সালে বানার হাওলা মৌজার এস এ ৭৫ খতিয়ানে, ১ নং আর এস খাস খতিয়ানে এবং এস এ দাগ নং - ১৬৪ ও ৭৮০ নং- আর এস দাগে লিজমূলে ১.৫ শতাংশ সম্পত্তি এবং ১৯৮৪ ইং সালে তার স্ত্রী আমেনা বেগম ক্রয় সূত্রে আরো ৫ শতাংশ সম্পত্তির মালিক প্রাপ্ত হন। এরপর থেকে দীর্ঘদিন যাবত কাপাসিয়া বাজারস্থিত বর্ণিত সম্পত্তিতে দোকান ঘরে ডাক্তারী চেম্বার ও ফার্মিসীতে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবত নির্বিঘ্নে বাজারের সকল হিন্দু-মুসলিম ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীদের সাথে মিলেমিশে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন ।

এলাকার ও দূর-দূরান্তের গরিব অসহায় মানুষদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন। ডাক্তারের মৃত্যর পর বর্ণিত সম্পত্তির দোকান ঘরটি তাঁর বড় ছেলে মোর্শেদ উদ্দিন প্রতিবেশী কার্তিক চন্দ্র বনিকের বড় ছেলে তাপস বনিকের নিকট মাসিক ভাড়া হিসাবে দেয়। এর কিছুদিন পর ২০০৯ ইং সালে তাপস বনিক ভাড়ার চুক্তিনামা দলিলটি সম্পত্তি আতœসাতের উদ্দেশ্যে জাল দলিল সৃষ্টি করে। এ নিয়ে পরবর্তীতে গাজীপুর আদালতে মামলার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন মামলা পরিচালনার পর মরহুম ডাঃ মোতাহার উদ্দিন গংদের পক্ষে রায় হয়। ফলে গত ১২/৫/২০১৯ইং তারিখে গাজীপুর আদালত কর্তৃক ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করে দোকানঘরটির দখল পজিশন মরহুম ডাঃ মোতাহার উদ্দিনের পরিবারের নিকট বুঝাইয়া দেন।

সংবাদ সম্মেলণে দাবী করা হয়, দখল বুঝিয়ে দেয়ার দিন কারো সাথে কোন প্রকার ঝামেলা সৃষ্টি হয়নি। তারপরও তাপস বনিক তাদের হয়রানী করার উদ্দেশ্যে এবং ধর্মিয় অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টির লক্ষ্যে গাজীপুরের একজন পুলিশ কর্মকতার সহযোগিতায় কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় উল্লেখ করে তার ঘরে থাকা একটি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। প্রতিমা ভাংচুরের কোন ঘটনা থাকলে সর্ব প্রথম বাজারের কোন ব্যবসায়ী বা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠন গুলো জানার কথা ছিল। এ ব্যাপারে আশপাশের কেউ কিছু জানেই না বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।

ঘটনাটি পুলিশ প্রশাসনকে না জানলেও ঘটনার সাথে সাথে গাজীপুর থেকে কয়েকটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল একটি মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক ভাবে সংবাদ প্রচার করে। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও পুলিশ ঘটনা স্থলে গেলে এর কোন সত্যা খুজে পায়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়টি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন এবং দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বদু, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন প্রধান, কাপাসিয়া উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন সাহা, উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. শেখর চন্দ্র সাহা, জয়কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জীবন ভৌমিক, এলাকাবাসি মোজাম্মেল হক, কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুফিয়া বেগম, কাপাসিয়া উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাহীন, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক সঞ্জীব কুমার দাস, ব্যবসায়ী বিজয় সাহা প্রমূখ।

(এসকেডি/এসপি/জুলাই ০৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test