E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আনোয়ারায় ধর্ষণ মামলার আসামির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

২০১৯ জুলাই ০৭ ১৬:৫৭:৩৩
আনোয়ারায় ধর্ষণ মামলার আসামির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আনোয়ারা উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি আবদুন নুরের (২৫) গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে আনোয়ারা থানা পুলিশ। রবিবার (৭ জুলাই) ভোরে আনোয়ারা ইকোনোমিক জোনের পাহাড়ের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘ইকোনোমিক জোনের পাহাড়ের ভেতর থেকে ধর্ষণ মামলার আসামি আবদুন নুরের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে হয়তো প্রতিপক্ষরা হত্যা করেছে।’ আবদুন নুরের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে বলে তথ্য দেন ওসি দুলাল মাহমুদ।

নিহত আবদুন নুর আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে। সে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার (৫ জুলাই) রাতে ধর্ষণের ঘটনায় সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. মামুন (২১) ও মো. হেলাল উদ্দিনকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ।

শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রাণী রায়ের আদালতে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি দেওয়া আসামি মামুনের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকায় এবং হেলালের বাড়ি পটিয়া উপজেলার ছনহরা এলাকায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জবানবন্দিতে আসামিরা জানিয়েছে- ধর্ষণের পরিকল্পনা করেই তারা চারজনের মধ্যে একজন চালক বেশে ও অন্য তিনজন যাত্রীবেশে চাতরি চৌমুহনী এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল। কিশোরী কোরিয়ান ইপিজেডে কর্ণফুলী সু ফ্যাক্টরিতে কাজ শেষে চন্দনাইশে বাড়ি যাওয়ার জন্য ওই সিএনজি অটোরিকশায় উঠে। কালারমার দীঘি এলাকায় পৌঁছালে তারা ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে বুধবার (৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে চৌমুহনীর কালারমার দীঘি এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।

(জেজে/এসপি/জুলাই ০৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test