E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

সুবর্ণচরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে সন্ত্রাসী হামলা, নারীসহ আহত ৩

২০১৯ জুলাই ১৫ ১৪:১৫:২৯
সুবর্ণচরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে সন্ত্রাসী হামলা, নারীসহ আহত ৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সুবর্ণচরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে বিধবা একনারীর শেষ সম্বল ঘর-বাড়ী দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় আহত হয় ২ নারীসহ ৩ জন। ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার ৫ নং চরজুবিলী ইউনিয়নের চর মহিউদ্দিন গ্রামে।

ভুক্তভোগী নারী চরমহিউদ্দিন গ্রামের মৃত নেসার আহম্মদের স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী আয়েশা খাতুন(৫) অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীর শেষ সম্বল ভিটে বাড়ী নিয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছি, বাড়ীটি চরজুবিলী এবং ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের বর্ডারের মধ্যে পড়ায় ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের লালিত সন্ত্রাসী চরমহিউদ্দিন গ্রামের মোবাশ্বের আলীর পুত্র আনসার, জয়নালের পুত্র ফজল হক দীর্ঘদিন কয়েক বছর ধরে আমার বাড়ী ঘর দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

শনিবার রাতে তারা আমার চাষের জমিতে বাঁধ দিয়ে রাখে এতে আমি এলাকার মান্যগণ্য লোকজনকে জানাই, গতকাল ১৪ জুলাই রবিবার সকাল ১০ টায় রাতের ঘটনার জন্য তারা আমাকে বিচার করে দিবে মর্মে সুকৌশলে আমাকে তাদের ক্লাবে ডেকে নিয়ে যায়।

আমাকে সেখানে বসিয়ে রেখে তারা ভাটাটিয়া সন্ত্রাসী লাগীয়ে আমার বাড়ীর পুকুরপাড় এবং চলাচলের রাম্তা কেটে দিতে চাইলে বাড়ীতে থাকা আমার ছেলে মোজাম্মেল হোসেন (২৯) বাঁধা দেয় এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে একই গ্রামের রবিউল হোসেনের পুত্র আব্দুর রব (৩২) মৃত মহিউদ্দিনের পুত্র নাসির (৩৫) ছায়েদ হকের পুত্র দেলোয়ার হোসেন সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে শোর চিৎকার শুনে আমার বৃদ্ধ মা ফিরোজা খাতুন (৭০) তাকে বাঁচাতে এলে আমার মাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে এবং আমার মেয়ে খতিজা খাতুন (২০) কে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে দেখি তারা সবাই আহত হয়ে পড়ে আছে।

আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে ২ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের ভয় দেখায় এবং তারা তার লোক বলে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে একাধিকবার তারা আমার বড় বাড়ী দখল করার জন্য আমার উপর হামলা চালায় আমি চরজুবিলী ইউনিয়নের বাসিন্ধা হয়েও যেহেতু হামলা কারিরা ২ নং চরবাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের লোক তাই আমি মোজাম্মেল চেয়ারম্যানের কাছে বিচার নিয়ে গেলে তিনি আমাকে অকত্য ভাষায় গালমন্ধ করে তাড়িয়ে দেয়। এসব কাজ চেয়ারম্যানের নির্দেশে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বর্তমানে আহতরা সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

চরজব্বার থানার ওসি সাহেদ উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধ ১ নারি সহ ৩/৪ জন আমার কাছে আসে আমি চিকিৎসা নিতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এব্যপারে অভিযুক্ত আনসার আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি, ভুক্তভোগিরা এ বিষয়ে একটি মামলার প্রস্ততি নিচ্ছেন বলেও জানান।

(এস/এসপি/জুলাই ১৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test