E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রথম স্থানে ‘মা’ ক্লিনিক

পলাশবাড়ীতে ক্লিনিক ও নাসিং হোমে এমআর এর নামে অবৈধ গর্ভপাত! 

২০১৯ জুলাই ২৮ ১৭:০৪:১১
পলাশবাড়ীতে ক্লিনিক ও নাসিং হোমে এমআর এর নামে অবৈধ গর্ভপাত! 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে প্রতিদিন কম বেশি নারীকে এমআর এর নামে অনাকাঙিক্ষত গর্ভপাত করানো হচ্ছে।

তথ্যানুসন্ধানে দেখাযায় পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি অবৈধ ক্লিনিক, নাসিং হোম ও হাসপাতালের ষ্টাফ নার্সদের বাসায় এম আর এর নামে এসব অবৈধ গর্ভপাত করানো হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফাতেমা ও আমেনা বেমম ঝর্না সহ আরো ২/৩ জন সিনিয়র ষ্টাফ নার্স এই অবৈধ গর্ভপাতের সাথে জরিত।

এক শ্রেণির নারী দালালকে কাজে লাগিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তারা এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু বিবাহিত নারীই না অবৈধ সম্পর্কে জরানো নারীদের পেটে সন্তান আসলে লোক লজ্জার ভয় কিংবা সামাজিকতার কারনে তারা বাচ্চা নষ্ট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে এই সব ক্লিনিকের সরনাপন্ন হয়। পলাশবাড়ীর ঘোড়াঘাট রোডে অবস্থিত মা ক্লিনিক এ প্রতি নিয়ত গর্ভপাতের ঘটনা ঘটছে। কত নব জাতক মারা যাচ্ছে তার হিসাব কে রাখে।

গর্ভপাত করার পর ভ্রন গুলো রাস্তার পাশের ড্রেন, টয়লেটের সেফটি ট্যাংক, কিংবা পরিত্যাক্ত স্থানে ফেলে রাখা হয়। পৃথিবীর মুখ দেখার আগেই এই সব ভ্রুর শিয়াল কুকুরের মুখের খাবার হয়ে যায়। যা অমানবিক!

চিকিৎসকরা জানান, এমআর-এর মাধ্যমেই বাংলাদেশে গর্ভপাতকে এক ধরনের বৈধতা দেয়া হয়েছে৷ সামাজিক এবং ধর্মীয় কারণে হয়ত সরাসরি গর্ভপাতকে বৈধতা দেয়া যায় না, কিন্তু অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ এড়াতে এর প্রয়োজন আছে৷ বাংলাদেশের আইনে শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শে মায়ের জীবন বাঁচাতে গর্ভপাতের সুযোগ আছে।

তবে এ সুযোগে ছোট ছোট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ‘গর্ভপাতের যে ব্যবসা গড়ে উঠেছে, তা ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ, সেখানে প্রশিক্ষিত ডাক্তার নাই৷ আয়া বা নার্স দিয়েই গর্ভপাতের কাজ করা হচ্ছে৷ এর ফলে কখনও কখনও গর্ভবর্তী মারা যান। আবার কখনো তার মা হওয়ার সক্ষমতা শেষ হয়ে যায় অথবা জটিল কোনো রোগে আক্রান্ত হন৷

সরকারের উচিত এসব অবৈধ ক্লিনিক ও নার্সদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা।

(এসআই/এসপি/জুলাই ২৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test