E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়পুরে জনবল সংকটে মৎস প্রজনন কেন্দ্রের উৎপাদন ব্যাহত

২০১৯ আগস্ট ০১ ১৮:৩২:৪৮
রায়পুরে জনবল সংকটে মৎস প্রজনন কেন্দ্রের উৎপাদন ব্যাহত

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর সরকারি মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (হ্যাচারি) জনবল সংকটের কারণে মৎস্য প্রজনন ও উৎপাদন বর্তমানে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জনবল সংকট দুর করতে একাধিক বার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১ আগষ্ট) অফিস সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর সরকারি মৎস্য পপ্রনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (হ্যাচারি) ৮১জন কর্মকর্তা ও কর্মকচারীর পদ থাকলেও বর্তমানে ৫১টি পদই শূণ্য রয়েছে। এতে করে করে প্রজনন কেন্দ্র থেকে রেনু ও মাছের পোনা বর্তমানে চাহিদা মত সরবরাহ করা যাচ্ছো না।

জানা যায়, ১৯৮২ সালে রায়পুর পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম কাঞ্চনপুর গ্রামে ৫৪ একর জমির সরকারি মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি চালু করা হয়। চাঁদপুর সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রন প্রকল্পাধীন ২ হাজার ৪শ ২৮ হেক্টর আয়তনের বদ্ধ জলাশয়, ২ হাজার হেক্টর আয়তনের নদী, বোরপীট খাল ও প্রধান খাল গুলোতে রুই জাতীয় মাছের রেনু ও পোনা সরবরাহ করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষে এ প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্র টি চালু করা হয়।

পপ্রনন কেন্দ্রের ৫৮টি শূন্যপদের মধ্যে ১জন উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকতা, ৬জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ১জন প্রশাাসনিক কর্মকর্তা, ৪জন মৎস্য সম্প্রসারণ সুপারভাইজার, ১জন হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, আরও ৩৬জন কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। ২০১২ সালের পর থেকে জনবল কমতে কমতে এখন তা চরমে পৌঁছেছে।

সূত্রে আরও জানা গেছে প্রজনন কেন্দ্র ৬৯টি পুকুর রয়েছে। এরমধ্যে বর্তমানে ৩০টি পুকুর ব্যবহারের অনুপোযোগি। ফলে শুষ্ক মৌসুমে পুকুর গুলোতে পানি শূন্য হয়ে রুই, কাতল, মৃগেল, কালি বাউশের মা মাছ মারা যায়।

জেলা মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি মোস্তফা বেপারী জানান, রায়পুর মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি মৎস্য হ্যাচারি। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে মাছের রেনু ও পোনার চাহিদা মেটাতে পারছে না এ প্রতিষ্ঠানটি। তাই দ্রুত জনবল সংকট দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি। রায়পুর উপজেলা

পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ জানান, এ মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটি উপকুলীয় এলাকাসহ দেশের দক্ষিন অঞ্চলের রেনু ও পোনা মাছের চাহিদা মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছিল। কিন্তু পোনা মাছের বিভিন্ন সমস্যাও দেখা দেয়। তাই কর্তৃপক্ষ যদি জনবল সংকট দূর করে তবে এ হ্যাচারির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার জানান, বৃহত্তম এই সরকারি প্রতিষ্ঠানটিতে জনবলসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যাগুলো দূর করার জন্য একাধিক বার চিঠি দিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ সকল সমস্যার পরেও গত বছর এ হ্যাচারি থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার রেনু পোনা বিক্রি করা হয়েছে।

(পিআর/এসপি/আগস্ট ০১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test