E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

অচিরেই চিত্রার দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান

২০১৯ আগস্ট ০৩ ১৭:২২:২৭
অচিরেই চিত্রার দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান

রূপক মুখার্জি, নড়াইল : বিশ্ব নন্দিত চিত্রকর এস এম সুলতানের স্মৃতি ধন্য চিত্রা নদী। নড়াইল শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে স্রোতস্বীনি চিত্রা নদী। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকে দখল আর দূষণে চিত্রা নদী শ্রীহীন হয়ে পড়েছে। চিত্রা নদীর সেই সৌন্দর্য্য আর নেই। নেই জৌলুস। ক্রমাগত দখলের কারণে চিত্রা নদী সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দখলদারদের তালিকা যাচাই বাছাই শেষে অচিরেই তাদের উচ্ছেদ করা হবে।

চিত্রা নদী চুয়াডাঙ্গা জেলার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ঝিনাইদহ ও মাগুরা হয়ে নড়াইল জেলায় প্রবেশ করেছে। নড়াইল জেলার মধ্যে ৪৬ কিলোমিটার অতিক্রম করে নদীটি খূলনা জেলার সীমান্তে গাজীরহাটে আতাই নদে মিশেছে। সেটি গিয়ে খুলনার রুপসা নদীতে মিশেছে। শহরের শেখ রাসেল সেতু থেকে শুরু করে রুপগঞ্জ বাজারের খাদ্য গুদাম ঘাট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার জুড়ে চলছে দখলদারদের তৎপরতা।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিত্রা নদীর দখলদারদের তালিকা করা হয়েছে।

সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের তালিকায় চিত্রা নদীর দখলদাররা হলেন, মহিষখোলার আলম শেখ, তোতা মোল্যা, কুদ্দুস আকুঞ্জি, আইয়ুব মুন্সী, আবু জাফর, মরিয়ম বেগম, রওশনারা খাতুন, জয়নব বেগম, নাছির মৃধা, রেনু বেগম, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ারা বেগম, মো: শরীফ, তহমিনা খানম, জাহানারা বেগম, তিুত মিয়া, জাকির হোসেন, আব্দুস ছাত্তার, তোতা মোল্যা, জাকির হোসেন, কালি রানী দাস, আকলিমা রহমান, সুশান্ত দেবনাথ, মাও: শফিউল্লাহ, অশোক কুমার কুন্ডু, সুকুমার কুন্ডু, সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, লালিয়া বেগম, মিন্টু, সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, নান্নু মোল্যা, মঈনউল্লাহ দুলূ, জিয়াউর রহমান, বাহাউদ্দিন মোল্যা ও মোকাদ্দেস গাজী। ভওয়াখালীর মুজিবর রহমান, বিল্লাল হোসেন, শাহীন শরীফ, ইমরান শেখ, সাজ্জাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম, জহুরুল হক, সৈয়দা ফারহানা দিল রুবা ও আজাহার মোল্যা। হাটবাড়িয়ার প্রফুল্ল কুন্ডু, লস্কার পুরের বুলু সিকদার ও শাহাজাহান, কুড়িগ্রামের মনোজ কুন্ডু, প্রভাষ কুন্ডু, সন্তোষ কুমার, রবিউল ইসলাম, গোপীনাথ সাহা, আকাশ মোল্যা, নজরুল ইসলাম, রশিদ বেপারী, অশোক কুন্ডু, মনি বাবু, বাসুদেব বিশ্বাস, নিরঞ্জন পাল ও কৃষ্ণপদ সাহা। পঙ্কবিলার পরিতোষ কুন্ডু, চরবিলার মাও: আবু জাফর এবং কমলাপুরের জীবন রতন কুন্ডু।
এ ব্যাপারে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব নদীর সীমানা চিহ্নিত করা ও দখলদারদের উচ্ছেদ করা। নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে কি না তা দেখার দায়িত্ব পাউবোর।

সদরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: আজিম উদ্দিন বলেন, বিগত ৬ মাস আগে চিত্রা নদীর দখলদারদের তালিকা করা হয়েছে। সবার শুনানীও সম্পন্ন হয়েছে। উচ্ছেদের জন্য এক মাসের মধ্যে নথি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, দখলদারদের তালিকা যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে। যাচাই বাছাই শেষে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(আরএম/এসপি/আগস্ট ০৩, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test