E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গাইবান্ধায় আট লাখ টাকার গাছ তিন লাখে বিক্রি!

২০১৯ আগস্ট ০৭ ১৭:২২:১৩
গাইবান্ধায় আট লাখ টাকার গাছ তিন লাখে বিক্রি!

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলা পরিষদের দুর্নীতির যেন শেষ নেই। শতবর্ষী একটি বিশাল আকৃতির রেইন্ট্রি গাছের মুল্য আট লাখ টাকা হলেও তা নামে মাত্র তিন লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে। ফলে সরকার প্রকৃত মুল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

জেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্র জানায়, গাইবান্ধা জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্থতা উন্নতিকরণ প্রকল্পের আওতায় এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর উপর ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন বিভিন্ন রাস্তায় উন্নয়ন কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী দুইধারের গাছসমুহ ২৮টি প্যাকেজে বিক্রির উদ্দেশ্যে (যেখানে যে অবস্থায় আছে) চলতি বছরের গত ১৭ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা হয়।

গত ১ আগস্ট বিকেলে দরপত্র বাক্সো খোলা হয়। তবে দাখিলকৃত দরপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এই সপ্তাহেই প্রতিটি প্যাকেজের সর্বোচ্চ দরদাতা/ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণাকরা হতে পারে। কিন্তু গত ২২ জুলাই ঝড়ে ১ নম্বর প্যাকেজের গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী রাস্তার গাইবান্ধা শহর অংশে জেলা পরিষদ সদর ডাকবাংলো মার্কেটের সামনে থাকা শতবর্ষী একটি রেইন্ট্রিগাছ উপড়ে পড়ে। এতে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সে কারণে জরুরি ভিত্তিতে গাছটি অপসারণের জন্য বিক্রি করা হয়। এতে তিন লাখ পাঁচ হাজার টাকা হাকিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হন আহসান হাবীব চৌধুরী।

এদিকে সচেতন মহল বলছে, শতবর্ষী এই বিশাল আকৃতির রেইন্ট্রি গাছটির মুল্য আট লাখ টাকার উপরে হওয়ার কথা। কিন্তু জেলা পরিষদ কতৃৃপক্ষ নামে মাত্র দামে তিন লাখ পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে। ফলে সরকার প্রায় পাঁচ লাখ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের একাধিক কাঠ ব্যবসায়ী জানান, গাছটির প্রকৃত মুল্য হয় প্রায় আট লাখ টাকা। সেখানে কোনও প্রকৃত কাঠব্যবসায়ীকে মূল্য হাকানোর সুযোগ দেয়া হয়নি। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজসে আট লাখ টাকার গাছ তিন লাখ পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। ফলে একদিকে যেমন সরকার প্রকৃত মুল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে লাভবান হয়েছে ক্রেতা ও জেলা পরিষদের অসাধু কর্মকর্তারা।

গাইবান্ধা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও দরপত্র মুল্যায়ন কমিটির সভাপতি মোছা. রোখছানা বেগম মুঠোফোনে বলেন, ‘গাছটি অপসারণের জন্য কেটে রাখতে বলা হয়েছে। ২৮টি প্যাকেজে ১৪০০ গাছ বিক্রির জন্য দরপত্র খোলা হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত করার কোনও সুযোগ নেই। তবে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আহসান হাবীব চৌধুরী কিভাবে নির্বাচিত হলেন তা আমার বোধগম্য নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(এস/এসপি/আগস্ট ০৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

৩০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test