E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেষ দিনে ফেনীতে কমেছে পশুর দাম

২০১৯ আগস্ট ১১ ১৯:৪৯:০৫
শেষ দিনে ফেনীতে কমেছে পশুর দাম

ফেনী প্রতিনিধি: রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। ঈদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। সারাদেশের মতো ফেনীতেও কোরবানির পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। চলছে শেষ মুহূর্তের কেনা বেচা। গরু-মহিষ আর ছাগলে ভরে গেছে হাট। বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু নিয়ে হাটে এসেছেন বিক্রেতারা। পছন্দের গরু-ছাগল কিনতে হাট ঘুরে ঘুরে পশু দেখছেন ক্রেতারা।

বিকেলে ছাগলনাইয়া সরকারি পাইলট হাই স্কুল মাঠ, দাইয়াবিবি স্কুল মাঠ, ফেনী হাসপাতাল মোড় পশুর হাট, সোনাগাজীর ভৈরব চৌধুরী হাট, মদিনা বাজার ও কাজির হাট পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, শেষ দিনে পশুর দাম আগের দিন গুলোর চাইতে কমে এসেছে। বড় গরুর চাইতে বেশি বিক্রি হচ্ছে মাঝারি সাইজের গরু।

ছাগলনাইয়ার হাটে দেখা যায়, গরু-ছাগলের পাশাপাশি সমান তালে চাহিদা রয়েছে মহিষেরও।

হাটে গুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার রাত পর্যন্ত কেনা বেচা চলবে।

আনিসুল হক নামে এক পশু বিক্রেতা জানান, বড় সাইজের গরু দেড় থেকে দুই লাখের উপরে বিক্রি হচ্ছে, মাঝারি সাইজের গরু ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজারে বিক্রি হচ্ছে, ছোট সাইজের গরু ৩৫ থেকে শুরু করে ৬০ হাজারে বিক্রি হচ্ছে, মহিষ বিক্রি হচ্ছে এক লাখ থেকে শুরু করে তিন লাখ পর্যন্ত। এছাড়াও ছাগল বিক্রি হচ্ছে আট হাজার থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া, শনিবার (১০ আগস্ট) জেলার সিলোনীয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হাটে আসা ক্রেতাদের পছন্দ দেশি গরু। তাই দর-দাম করেছেন বেশির ভাগ ক্রেতা। গরুর দাম চড়া। আশানুরূপ বিক্রিও হয়েছে। নির্ধারিত স্থান ছাড়াও স্কুল মাঠ, সড়কে সারি সারি গরু উঠেছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, এ বছর জেলায় কোরবানির চাহিদা প্রায় ৮৫ হাজার পশু। স্থানীয় লোকজন ও খামারিদের কাছে পশু মজুত আছে ৮৮ হাজার ২৯৮টি। প্রায় তিন হাজার পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। জেলার ৫০টি হাটে পশুর রোগবালাই পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। জেলার ছয়টি উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা মেডিক্যাল টিমের কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন।

ছাগলনাইয়ার মহামায়া ইউনিয়নের পূর্বদেবপুর গ্রামের খামারি একরামুল হক পাটোয়ারী বিএসসি জানান, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে তিনি ২০টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। গরু গুলো আকারে বড়। বাজারে বড় গরুর ক্রেতা কম থাকায় তিনি সব গরু ঢাকায় বিক্রির জন্য পাঠিয়েছেন। বাজারে দেশিয় ছোট গরু ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া জেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে এবার গতবারের তুলনায় ছোট ও মাঝারি আকৃতির গরু ও মহিষের চাহিদা অনেক বেশি। পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর চাহিদা আগের তুলনায় কম। দেশি গরু কিনতে বেশি আগ্রহী ক্রেতারা। ক্রেতারা ছুটছেন ছোট ও মাঝারি আকৃতির দেশি গরু ও ছাগলের দিকে। দেশিয় খাদ্যে লালন-পালন হওয়ায় ওই সব গরুর প্রতি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। তবে গতবারের চেয়ে এবার পশুর দাম বেশি।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, সদর উপজেলায় ৩৮টি কোরবানির পশুর হাট রয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি হাটে অস্থায়ী বুথ তৈরি করে এবং বাকি গুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।

(ওএস/পিএস/আগস্ট ১১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test