E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিদ্যালয়ের টয়লেট মেরামতের অজুহাতে গাছ কর্তনের অভিযোগ

২০১৯ আগস্ট ৩১ ১৫:২১:২৯
বিদ্যালয়ের টয়লেট মেরামতের অজুহাতে গাছ কর্তনের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বিদ্যালয়ের টয়লেট মেরামতের অজুহাতে গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ইউনিয়নের জাঠিভাঙা এস.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে। 

গতকাল শুক্রবার সকালে বিদ্যালয়ের গাছগুলো কাটতে গেলে এলাকাবাসির তোপের মুখে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় গাছকাটা শ্রমিকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের গেটের সামনেই একটি কাঁঠাল গাছের গোড়ার দিকের মাটি সড়ানো। পাশেই জটলা বেধে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির লোকদের দোষারোপ করছে স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্ররা। এসময় কয়েকজন জানান, বিদ্যালয়ের টয়লেট মেরামতের অজুহাতে বিদ্যালয়ের ছায়াবৃক্ষ হয়ে দাড়িয়ে থাকা তিনটি কাঁঠালগাছ সহ মোট পাঁচটিগাছ কাটার কথা ছিল আজ। কিন্তু বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকদের বাধার মুখে গাছ কাটা বন্ধ রাখে কমিটির লোকজন।

তবে এসময় স্থানীয়দের সাথে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও শুখানপুকুরী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি এবং গিরি, দিপেন, রমেশ (ইউপি সদস্য) ও কার্তিকতলা এলাকার রমেশ সহ বেশ’কজনের সাথে বাক-বিতন্ডা সহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।পরে স্থানীয়দের তোপরে মুখে গাছ কাটা বন্ধ রাখে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি।

জাঠিভাঙা এস.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি বাহাদুর চন্দ্র বর্মন জানান, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধা সৃষ্টি করে ঠুনকো অজুহাতে গাছগুলি কর্তন করার কথা শুনে বিদ্যালয়ে ছুটে আসি এবং এর প্রতিবাদ জানাই।তিনি আরও বলেন, কৃষ্ণ রায় নামে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির এক অভিভাবক সদস্য এ ঘটনায় তিনি তার নিজ পকেট থেকে দশ হাজার টাকা সহযোগিতা করার কথা জানালেও ম্যানেজিং কমিটি তার কথা না রেখে বিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষাকারি মুল্যবান গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া বনবিভাগ ও ইউএনও অফিসকে অবহিত করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি।

বিদ্যালয়ের এক সাবেক ছাত্র জানান, গরমের সময় স্কুলে এমনিতেই বসে ক্লাশ করা দায়, তার উপর যদি গাছগুলো কাটা হয় তাহলে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা আর ক্লাশেই উপস্থিত হবে না। আমরা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির এ অবৈধ গাছ কাটার তীব্র নিন্দা জানাই।

বাটলু নামে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক এক সদস্য জানান, বিদ্যালয়ের নামে জেলা পরিষদ থেকে এক লক্ষ টাকার ফান্ড পাওয়া গিয়েছে, অথচ সেটার কোন হদিস নাই। এখন শুনি বিদ্যালয়ের গাছ কেটে টয়লেট মেরামত করা হবে। এখানে নিশ্চই কোন রহস্য আছে, তা নাহলে স্কুল বন্ধের দিন কেন গাছ কাটা হবে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাম কিশোর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এর কিছুই জানিনা। সবকিছু ম্যানেজিং কমিটি জানে।

এদিকে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুধীর শর্মার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

(এফ/এসপি/আগস্ট ৩১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test