E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাপাসিয়ায় যুবরাজের মাদক ব্যবসা জমজমাট

২০১৯ সেপ্টেম্বর ০১ ১৬:০২:৪৩
কাপাসিয়ায় যুবরাজের মাদক ব্যবসা জমজমাট

কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়ার চরসনমানিয়া ও চরআলীনগর ও আশ পাশ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী যুবরাজ জাহিদ হোসেন মাদক ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। ব্যবসাকে বিস্তার লাভ করার জন্য যুবরাজ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে এলাকায় সাধারণ মানুষের উপড় নির্যাতন শুরু করেছে।

মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললেই তার উপর হুমকি দামকি দিয়ে চলছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে গত ঈদুল আযহার নামাজ থেকে একযোগে মাদক কারবারিদের প্রতিহতের ঘোষনা দেন। এলাকা থেকে মাদকের আস্তানা নির্মূল করার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের জন্য এলাকাবাসির পক্ষে সনমানিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের আহবায়ক মোঃ কাসেম আলী বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের চরসনমানিয়া ও চরআলীনগর গ্রামের আশপাশে দীর্ঘদিন যাবত এলাকার মাদক সম্ম্রাট জাহিদ হোসেন যুবরাজ এবং চরসনমানিয়া উত্তর পাড়ার মানিক মিয়ার পুত্র মোশারফের নেতৃত্বে মাদক আখড়া গড়ে তোলে। তারা এলাকার উঠতি বয়সি স্কুল-কলেজগামী ফুসলিয়ে মাদক সেবনের সাথে জড়িয়ে ফেলছে। এলাকার সাধারণ মানুষ এদের অত্যারে অতিষ্ট হয়ে কিছুদিন আগে যুবরাজের মাদকের আস্তানা গুড়িয়ে দিয়েছিল।

এলাকাবাসির অভিযোগে থানা পুলিশও একাধিকবার তাদের নিয়ন্ত্রিত মাদকের আখড়া ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে নাম মাত্র কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। থানা পুলিশ ও এলাকার কিছু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় মাদক কারবারিরা তাদের ব্যবসা পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাসী অভিযোগ করেন।

এলাকার জনসাধারণ একাধিক মসজিদে নামাজের পর এলাকা থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব বন্ধের দাবী জানিয়ে এবং তা প্রতিহত করার জন্য ঘোষনা দেন। এ ছাড়া এলাকা থেকে মাদক নির্মূলে সনমানিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন এবং সুশীল সমাজের ব্যানারে স্থানীয় চরআলীনগর নতুন বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা সমাবেশ করে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন।

বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘এলাকার যারাই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরকেই পুলিশ দিয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ করেন। অনেক সময় মাদক ব্যবসায়ীরা নিরীহ লোকজনের বাড়িতে মাদকদ্রব্য রেখে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া এলাকাবাসী বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. আলহাজ¦ আমানত হোসেন খান কে অভিযোগের অনুলিপি দিয়ে অবহিত করেছেন ।

(এসকেডি/এসপি/সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test