E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্বামী ও কাজীর জাল স্বাক্ষরে গৃহবধূ কেয়ার সর্বনাশ

২০১৯ সেপ্টেম্বর ০৫ ১১:৫২:০২
স্বামী ও কাজীর জাল স্বাক্ষরে গৃহবধূ কেয়ার সর্বনাশ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : পলাশবাড়ী উপজেলায় এক স্বামী কৌশলে নিজের ও কাজীর জাল করার অভিযোগ উঠেছে ।ঘটনাটি ঘটেছে মনোহরপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্ধা বালু খোলা গ্রামের কছির উদ্দিনের কন্যা কেয়া বেগম (২৮)এর সাথে।

জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে একই উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের বরকতপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র মাহাবুব মিয়ার সহিত ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিবাহ হয়।বিবাহের পর ঘরসংসার করা কালে একটি কন্যা সন্তান জম্ম নেয় ।কন্যা সন্তান জম্মের পর থেকে গৃহবধূ কেয়া কে যৌতকসহ বিভিন্ন প্রকার নির্যাতন করে, স্বামী ও তার শ্বশুর, শাশুরী ।

নির্যাতনের নিয়ে অনেক সালিশ- বৈঠক করে আবার স্বামীর সংসারে ফিরে আসে কেয়া বেগম।

পরবর্তী সময়ে ঘর-সংসার চলা কালে গত ৯ জুন তার স্বামী তালাকের উদ্দ্যশে জোড়পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়,আর তালাক দেখানো হয়েছে ৫ এপ্রিলে ।

স্বামীর স্বামী সুচাতরী করে সাদা কাগজটাকে তালাকের কাগজ বলে স্বামী বলে তুই আমাকে তালাক দিয়েছিস তুই আমার বউ না, তুই বাড়ী থেকে বের হয়ে যা। এবং স্ত্রীকে মারধার করে জোড়পূর্বক বাড়ী থেকে বের করে দেয়।

তালাকের বিষয়ে কেয়া জানান, আমি কখনো আমার স্বামী কে তালাক দেই নাই,আমার স্বামী ও কাজী সাহেব মিথ্যা স্বাক্ষী তৈরি করে তালাকের নাটক সাজিয়ে আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছে। আমার পক্ষে তার বন্ধু জিয়াউর রহমান কে স্বাক্ষী বানিয়েছে ও ছেলের পক্ষের স্বাক্ষী মোঃ রুবেল মিয়া, পিতা ইসমাইল হোসেন (২) সোহেল রানা পিতাঃ নুরুন্নবী প্রধান, উভয়ের সাং বালাবামুনিয়া থানাঃপলাশবাড়ী জেলাঃগাইবান্ধা। কিন্তু স্বাক্ষীর নামের সাথে ঠিকানার কোন মিল নেই।

তালাকের বিষয়ে ছেলের বাবা আইয়ুব আলী জানান,আমি আমার ছেলেকে তালাক করতে দেখি নাই,শুনেছি বউ না কি আমার ছেলেকে তালাক দিয়েছে।

এবিষয়ে পবনাপুর ইউনিয়ন নিকাহ ও তালাক রেজিঃ কাজী মোওলানা সহিদুল ইসলাম জানান,কেয়া বেগম নিজে কাজী অফিসে এসে তালাক দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলাম জানান, আমাকে কোন পক্ষেই জানাইনি।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test