E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কাপাসিয়ায় নিয়ন্ত্রণহীন অটো রিকশা ও ইজিবাইক

২০১৯ সেপ্টেম্বর ১৫ ১৬:০৫:১৯
কাপাসিয়ায় নিয়ন্ত্রণহীন অটো রিকশা ও ইজিবাইক

সঞ্জীব কুমার দাস, কাপাসিয়া (গাজীপুর) : গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা এখন যানজট ও দুর্ঘটনার বড় কারণ হয়ে দাড়িয়েছে অটো রিকশা ও ইজিবাইক। যেখানে সেখানে পাকিং ও রাস্তার মাঝ দিয়ে চলাচলের কারনে প্রতিনিয়ন দুঘটার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ যেন দেখার কেউ নেই। উপজেলার জুড়ে বেপরোয়া হয়ে উঠছে অটো রিকশা ও ইজিবাইক। কোন ভাবে নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না এদের। 

আঞ্চলিক সড়ক গুলোতে পাল্লা দিয়ে চলছে লাইন্সেনবিহীন অবৈধ এ সব যানবাহন। এসব যানবাহনের কারনে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক গুলোতে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকে। তবে ভুক্তভোগিরা যানজট নিরসনে প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করেন।

সরেজমিন দেখা যায়, কাপাসিয়ার ব্যাস্ততম পাবুর ও বরুন রাস্তার মোড় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইকের দখলে। অসহনীয় যানজট ছড়িয়ে পড়ে মূল সড়ক থেকে অলিগলিতে। ব্রীজের মোড় হতে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত অর্ধ কিলো: যেতে সময় লাগে প্রায় একঘন্টা আগের চেয়ে এখন সময় বেশি লাগে ৫০মিনিট। কাপাসিয়া বাসষ্ঠ্যান্ড মোড়, কলেজ রোড মোড়, থানার মোড় সহ উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ন মোড় গুলোতে সারা দিন যানজট লেগেই থাকে।

একটি সুত্র জানায়,ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চার্জ দিতে (পল্লী বিদ্যুতের হিসাব মতে) প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ ইউনিট বিদ্যৎ্ ুব্যবহূত হয়। এ হিসাবে প্রায় এক হাজার হাজার রিকশায় ব্যবহৃত হচ্ছে চার হাজার থেকে ছয় হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ্। যার ফলে এলাকায় প্রতিদিন লোড শেডিংএর কবলে পড়তে হচ্ছে কাপাসিয়ার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহকে। স্থানীয় ভাবে গড়ে উঠা ব্যাটারি চালিত রিকশার তৈরির গ্যারেজ ও অবৈধ ব্যাটারির তৈরির কারখানা গুলোতে চলছে শিশু শ্রমিকদের দিয়েই ।

তাছাড়া অধিকাংশ রিকশার গ্যারেজ মালিকই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে এসব রিকশার ব্যাটারিতে চার্জ দিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেন, যাতায়াতে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হিসেবে ইজিবাইক একসময় পরিচিতি পেলেও এখন তা এলাকাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তায় চলাচলরত এসব অটোরিকশা ড্রাইভার বেশির ভাগই নাবালক ও অদক্ষ ।

তারা ময়মনসিংহ, গফরগাঁও ও পাগলা, জামালপুর জেলা থেকে এসে কাপাসিয়ায় এসে অটো রিকসা চালাচ্ছে আর এদের প্রশ্রয় দিচ্ছে স্থানীয় ভাবে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা কিছু শ্রমিক সংগঠন। তাই এলাকার সচেতন মহলের দাবি বিষয় গুলো প্রশাসন নজরে এনে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।

(এসকেডি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test