E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

২০১৯ সেপ্টেম্বর ১৫ ১৭:৫১:০০
যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের খিলাপাড়া  গ্রামে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরিফ সেকের বিরুদ্ধে। 

নির্যাতনে স্ত্রীর বাম পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতের কারণে ওই গৃহবধূকে সিরাজদিখান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত শুক্রবার সকাল ৮টায় আরিফ সেক তার সিরাজদিখান কাঠপট্টি দেলোয়ারের ভাড়া বাড়িতে নির্যাতনের এ ঘটনা চালায়। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা মোঃ তাজুল ইসলাম বাদি হয়ে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ রাঙ্গামালিয়া ধামালিয়া গ্রামের আনোয়ার সেকের ছেলে আরিফ সেকের সঙ্গে চার বছর আগে একই ইউনিয়নের মোঃ তাজুল ইসলামের বড় কন্যা এ্যানী আক্তারের (২২) বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুক নিয়ে নানা সময়ে আরিফ সেক ও তার মা পাভীন বেগম এ্যানী আক্তারকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে আসছে।

রবিবার সকালে নির্যাতিত এ্যানীর বাবা মোঃ তাজুল ইসলাম ও মা আসমা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের জন্য মেয়ের জামাই নানা সময়ে নির্যাতন করেছে। তাই মেয়ের শান্তির কথা চিন্তা করে যৌতুকলোভী মাদকসেবী জামাই আরিফ সেকের বিরুদ্ধে কয়েক বার বিচার শালিস হওয়ার পরেও মেয়ের জামাইকে বিভিন্ন সময়ে অনেক বুঝিয়েছি। এরপরও নির্যাতন থেমে থাকেনি। ঘটনার দিন আরিফ সেখ ও তার মা পারভীন বেগম তিনলাখ টাকার যৌতুকের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ্যানী আক্তারকে অকথ্য নির্যাতন চালায়। তাদের নির্যাতনে এ্যানীর বাম, হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থান বটি দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম হয়।

খবর পেয়ে তাজুল ইসলাম আশপাশ এলাকার লোকদের সহায়তায় মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার করে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এঘটনায় তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে আরিফ সেকসহ দুইজনকে অভিযুক্ত করে গেল শুক্রবার রাতে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

যৌতুকের বিষয়টি অস্বীকার করে আরিফ সেক বলেন, ‘আমি বিদেশ যাওয়ার জন্য কিছু টাকা সংগ্রহ করে রাখি। এই টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির সময়ে পারিবারিক ঝগড়াঝাটি হয়। এ সময়ে এ্যানী রাগাম্বিত হয়ে আমাকে মারতে চাইলে আমি বাধা দেই। তবে তাকে কোনও নির্যাতন করা হয়নি।

সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ ফরিদউদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরত্বি সহকারে তদন্তকরে দেখা হচ্ছে।

(এসআরডি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test