E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধামরাইয়ে ১৯৬টি মন্দিরে চলছে শারদীয়া দূর্গোৎবের প্রস্তুতি 

২০১৯ সেপ্টেম্বর ২৬ ১৮:০০:৩৮
ধামরাইয়ে ১৯৬টি মন্দিরে চলছে শারদীয়া দূর্গোৎবের প্রস্তুতি 

দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই (ঢাকা) : আগামী ৪ অক্টোবর ষষ্টী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়েরর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় শারদীয়া উৎসব।ধর্মীয় রীতি মতে এবার “দেবীর ঘোটাকে আগমন ও দেবীর ঘোটাকেই গমন”।

এবার ধামরাই উপজেলার একটি পৌর সভায় ৪০ টি সহ ও ষোল টি ইউপির বিভিন্ন স্থানে ১৯৬ টি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে শারদীয়া উৎসবের আয়োজনে শিল্পী-পূজারীরা প্রতিমা গড়া,শুকানো শেষে রংতুলির কাজ ও সাজ সজ্জার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।

অধিকাংশ মন্দিরেই মাটির কাজ শেষে রং-তুলির কাজ শুরু করেছে শিল্পীরা।রং তুলির আচরে দেবীর রূপ লাবন্য ফুটিয়ে তুলছে।প্রায় শিল্পীরা একাধিক প্রতিমা গড়ার কাজ হাতে নেওয়ায় গত দুই মাস আগে থেকেই মূর্তির তৈরী ও মাটির দিয়ে গড়ার কাজ শেষ করে এখন রং তুলিতে ব্যস্Í হয়ে পড়েছে।

ধামরাই মাধব মন্দির ও রথ পরিচালনা পরিষদের সহ সভাপতি ও আয়োজক পূজারী ডাঃ অজিত বসাক বলেন ৪ অক্টোবর থেকে পুজা শুরু হবে। তাদের মন্দিরে প্রতিমার রং তুলির কাজ শেষে সাজ স্জাও চলছে।তিনি বলেন এবারো শান্তিপুর্ন ভাবে উৎসব পালন ও শেষ হব বলে আশা প্রকাশ করেন। দেশের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করেন তিনি ।

ধামরাইয়ে ৪ শত বছর ধরে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে কাহেৎ পাড়ার ঐতিহ্যবাহী রায় বাড়িতে। প্রতিবছরের মত জাকজমক পূন্য ভাবে এবারো পূজার আয়োজন করেছেন বলে জানান রায় বাড়ির সদস্য এডভোকেট শ্যামল রায় মৌলিক। সার্বজনীন এই উৎসব সকলের সার্বিক সহযোগিতায় অনূষ্ঠিত হয়ে থাকে।তার মন্দিরে মূতিতে রংয়ের কাজ হয়েছে বলে জানান। তার পরিবারের মধ্যে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে।

এবার আয়োজন বর্ধিত কলেবরে হবে বলে জানান দুই শত বছর ধরে পূজার আয়োজন কারী পরিবারের সদস্য পূজারী প্রকাশ বণিক। তিনি বলেন রংতুলির আচর পড়ছে দেবীর গায়ে পাশাপাশি মন্দিরের সাজ সজ্জার কাজও শেষের পথে। তিনি ধামরাই পৌর এলাকার রথ খোলায় প্রধান সড়কের উপর দুই শতাধিক বছর ধরে চলছে অস্থায়ী ভাবে স্থাপিত মন্ডপে এ আয়োজন।

ধামরাইয়ের বিশ্বকর্মা পুজারীদের অন্যতম নেতা ও শিল্পী সুকান্ত বণিক বলেন,শিল্পীরা সুক্ষ সুক্ষ কাজগুলি করছে। পুজা উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘরে ঘরে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে ধামরাইয়ের হিন্দুদের মাঝে। ঢাকার পাশেই ধামরাই একটি ঐতিহ্যবাহী অতি প্রাচীন জনপদ। এখানে প্রায়ই বিদেশী পর্যটকরা ভ্রমনে আসেন। অথচ এখানকার প্রধান সড়কটিই দিনে দিনে দখল হয়ে ক্ষিনকায় রূপ নিচ্ছে। রাস্তার উপর বসে হাঠ।ইজারা দারদের দৌরাত্ম এতোই যে, দোকানের সামনে দোকান বসিয়ে টোল আদায় করছে। এতে সড়কে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

বিদেশী পর্যটকরা যান বাহন নিয়ে আসেন,অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে চলছে ইজিবাইক,অটোরিক্সা সহ হাজারো যানবাহন।চলালের চরম পির্যয় ঘটছে। প্রতি নিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। উদাসিন পৌর কর্তৃপক্ষ।এর প্রদক্ষেপ গ্রহন জরুরী বলেন।

মাধব মন্দির ও ধামরাই উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক পুজারী নন্দ গোপাল সেন বলেন ৪ অক্টোবর মহা ষষ্টীর পুজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়েরর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় শারদীয়া উৎসব।ধর্মীয় রীতি মতে এবার “দেবীর ঘোটাকে আগমন ও দেবীর ঘোটাকেই গমন”।বাংলাদেশের উপজেলা গুলির মধ্যে ধামরাই উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে এ পূজার আয়োজন সব চেয়ে বেশী। এবার ধামরাইয়ে ১৯৬ টি দূর্গা মন্দিরে শারদীয়া উৎসবে আয়োজন হচ্ছে বলে জানান তিনি।

প্রশাসন থেকে থেকে সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুজারী নের্তৃবৃন্দদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের উধ্বতন কর্মর্তার মতবিনিময় করেছেন। পৌর এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে এবার ৪০ টি পূজার আয়োজন রয়েছে। রংতুলির কাজ শুরু হয়ে শেষের পর্যায়ে। এই বৃহত ধর্মীয় উৎসব প্রতি বারের মতো এবারো শানিত পুর্ন ওসুন্দর ভাবে শেুরু ও শেষ হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন।

এব্যাপারে ধামরাই উপজেলায় সদ্য যোগদানকারী কর্মকর্তা মোঃ সামিউল হক বলেন আইন শৃংখলা মিটিং হলে তিনি পুজার বিষয়ে মিডিয়ায় কথা বলবেন। এর আগে নয়। তিনি বলেন পুজায় সরকারী অনুদান আসা মাত্রই সকল পূজারীবৃন্দদের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান।

ধামরাই থানার অফিসার্স ইনাজ দীপক কুমার সাহা বলেন শারদীয়া দূর্গা পূজা উপলক্ষে শুক্রবার ২০ সেপ্টেমবর বিকেলে ঢাকা জেলায় সদস্য যোগদানকারী পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন সরদার ধামরাইয়ের সকল মন্দিরের পুজারী কর্মকর্তাদের নিয়ে আইন শৃংখলা বিষয়ে এক মত বিনিময় সভা করেছেন। তিনি বলেছেন শান্তি পুর্নাভাবে উৎসব পালনের জন্য প্রশাসনিক প্রয়োজনী সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

ধামরাই উপজেলায় এবার ১৯৬ টি মন্দিরে পুজা হবে।এর মধ্যে থানা ও পৌর এলাকায়ই ৪০ টি মন্দিরে পুজার আয়োজন রয়েছে। আর এই সব মন্দির প্রাঙ্গন গুলোই আগত পর্যটক ওর্ অধিক ভক্তবৃন্দের আগম ঘটে। একারনে এই সব মন্দির গুলোতে আমাদের বেশী কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে বলেন। তিন সকল স্তরের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান। প্রতি বারের মতো এবারো শান্তিপূর্ন ভাবে পূজা উৎসব সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ধামরাই পৌর মেয়র গোলাম কবী বলেন প্রতি বরের মতো এবারো শান্তি পুর্নভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা

অনুষ্ঠিত হবে। তিনি পৌর সভার পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রযোজনীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা করার কথা বলেন।তিনি আরো বলেন প্রতিবারের মতো এবারো শারদীয় উৎসবের বিসর্জনস্থল ধামরাই কায়েত পাড়া বংশী নদীর মাধব বাড়ি ঘাটটি সংস্কার করে সেখানে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা সহ পৌর সভার সকল কাউন্সিলর ও ষ্টাফদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েয়ে।বিগত বছরের মতো এবারো প্রতিটি মন্দিরে পাচ হাজার টাকা করে পৌর সভার পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়েছে সকল পুজারীদের মাঝে।

ধামরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ধামরাই উপজেলা যবুলীগ সভাপতি মোঃ মোহাদ্দেজ হোসেন জানিয়েছেন শারদীয় উৎসব হিন্দুদের তবে এ উৎসব উপভোগ সার্বজনীন ভাবে হয়।্ আমরাও উপভোগ করি।পুজায় প্রশাসনিক ভাবে সকল ব্যবস্থা গ্রহনকরা হয়েছে বলেন। সরকারের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল রাখতে এষিয়ে তিনি নজর রাখছেন বলেও জানান।

(ডিসিপি/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test