E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

স্কুলছাত্রী রিমার আত্মহননে প্ররোচনা মামলার দুই আসামিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা

২০১৯ সেপ্টেম্বর ২৮ ১৮:৪৯:৫৪
স্কুলছাত্রী রিমার আত্মহননে প্ররোচনা মামলার দুই আসামিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদির বাবাকে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনার রিমা আত্মহনন প্ররোচনা মামলার দু’ আসামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা হয়েছে। শুক্রবার সাতক্ষীরা সদর থানায় এ মামলা করেন সাতক্ষীরা সদরের বল্লী গ্রামের ফজিলা খাতুন।

ফজিলা খাতুন তার মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার মেয়ে স্কুল ছাত্রী রিমা খাতুনকে প্রতিবেশী চাচা মাদ্রাসা ছাত্র মহব্বত তাকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতো। তাতে রাজী না হওয়ায় তারা বাড়িতে না থাকায় কোচিং এর শিক্ষক ঘরের মধ্যে পড়ানোকালিন ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট রাত ৯টার দিকে বাইরের দিক থেকে দরজায় শিকল তুলে দিয়ে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে মহব্বতসহ কয়েকজন বাড়িতে শালিস বসায়।

শালিসকারকরা অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করে শিক্ষক হাফিজুরকে ছেড়ে দেয়। শালিসে রিমাকে দুশ্চরিত্রা বলে মারপিট করে চরম অপমান করা হয়। একপর্যায়ে রাতেই সে বাড়ির উঠানের আমগাছের ডালে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় তার ছেলে রনি বাদি হয়ে পরদিন মহব্বত, তার বাবা আনছার খাঁসহ আটজনের নামে থানায় মামলা করেন।

আসামিরা জেলে থাকাকালিন হুমকির ঘটনায় স্বামী জাকির খাঁ ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর সদর থানায় ৩১৫ নং সাধারণ ডায়েরী করেন। ওই বছরের ১৯ নভেম্বর মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক শেখ মোঃ মিরাজ আলী মহব্বত ও আনছার খাঁসহ ছয় জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও ডাক্তার সাক্ষীর জন্য ধার্য দিন।

ফজিলা খাতুন আরো জানান, গত বুধবার সকালে তারা বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমানের কাছে হুমকির বিষয়ে জানিয়ে স্বামী- স্ত্রী বাড়ি ফেরার পথে মহব্বত, তার বাবা আনছার খাঁ ও মা রাশিদা লোহার রড দিয়ে তার স্বামী জাকির খাঁ’র মাখা ফাটিয়ে দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ফজিলা খাতুনের অভিযোগটি শুক্রবার মামলা হিসেবে রেকর্ড করে( সদর থানা মামলা নং-৮৫ তাং ২৭.০৯.১৯) তদন্তভার উপপরিদর্শক হাজ্জাজ আলীর উপর ন্যস্ত করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(আরকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test