E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নির্যাতনের হাত থেকে বাচতে চায় কুতুবপুরবাসী

২০১৯ অক্টোবর ২২ ২৩:২৩:২০
নির্যাতনের হাত থেকে বাচতে চায় কুতুবপুরবাসী

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা কেন্দুয়া, (নেত্রকোনা) : কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের আলিম উদ্দিন মুন্সির ছেলে মোঃ হাদিস মিয়া, ফেরদৌস মিয়া, আব্দুর রউফ, সামির উদ্দিন মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে মাইনুল ইসলাম প্রভাবশালী চক্রের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে চায়। তারা ন্যায় বিচার দাবীতে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। ওই গ্রামের বকুল মিয়া জানান, নওপাড়া মৌজায় জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাউরাট গ্রামের গোলাম আকবর পঞ্চু মিয়া গংদের সঙ্গে বিরোধ চলছে দীঘদিন থেকে।

নওপাড়া বাজার সংলগ্ন সাইডুলি নদীর ওপর ব্রীজের পূর্ব পাশে কিছু জমি নিয়ে কেন্দুয়া সহকারি জজ আদালতে আরওআর রেকর্ড সংশোধনের জন্য একটি মামলা করেন। আদালত ওই মামলাটি ডিসমিস করে দিলে তারা জেলা জজ আদালতে আপিল করেন। কিন্তু সেখানেও মামলাটি টিকেনি। এদিকে বকুল মিয়া গংরা নেত্রকোনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুনালে বি.আর.এস সংশোধনের একটি মামলা করেন।

বিজ্ঞ আদালত সোনানি শেষে বি.আর.এস সংশোধন করে বকুল মিয়া গংদের পক্ষে ডিক্রী প্রদান করে। হাদিস মিয়া, ফেরদৌস মিয়া, আব্দুর রউফ, মাইনুল ইসলাম, হক মিয়া ও সামির উদ্দিন জানান, জমিটি তাদের দখলে রয়েছে, কিন্তু প্রভাবশালী চক্রটি ক্ষমতার দাপটে তাদেরকে ওই ভূমি থেকে উচ্ছেদের জন্য নানা ভাবে চাপ ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে। একাধিক সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানি করছে। রোববার রাতে পুলিশকে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়ায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

সারা রাত থানা হাজতে থাকার পর সোমবার তাদের কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের উপস্থিতিতে মুছালেখা নিয়ে ছেড়ে দেন। বকুল মিয়া বলেন, কোন মামলা বা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া আমার ভাই ভাতিজাদেরকে এভাবে আটক করে নেয়ার ঘটনায় আমরা আতংকিত। আমরা নির্যাতনের হাত থেকে বাচতে চাই। চাই আমরা ন্যায় বিচার।

কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুন্দর রাখার স্বার্থেই তাদেরকে আটক করা হয়েছিল।

এদিকে এ আটকের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কেন্দুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, আটকের আগের দিন উভয়পক্ষকে নিয়ে থানায় বসে একটি শালিস হয়েছিল। ওই শালিশের শর্ত ভঙ্গ করায় আইনশৃঙ্খলা সুন্দর রাখার স্বার্থে তাদেরকে আটক করা হয়েছিল। পরে আবার মুছালেখা নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, ভূমি সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাতে কোন পক্ষের লোকজন অযথা হয়রানির শিকার না হন সেদিকে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ২২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test