E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

২০১৯ অক্টোবর ২৪ ২৩:০০:২৬
বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা কেন্দুয়া, (নেত্রকোনা) : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শিক্ষক আমিনুলহক শ্যামলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধর্ষিতা ওই ছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শিক্ষক শ্যামল সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপহরনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা তাতীর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও নেত্রকোনা জেলা কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বি.এস.সি শিক্ষক আমিনুলহক শ্যামল ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পাশাপাশি বেখৈরহাটি বাজারে সৃষ্টি মডেল একাডেমি নামক কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করতেন।

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হিসেবে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন ওই ছাত্রী। কোচিং করার সুবাদে ওই ছাত্রীর ওপর কু-নজর পরে বি.এস.সি শিক্ষক আমিনুল হক শ্যামলের। তিনি ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে তার বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। গত ১৫ অক্টোবর সকাল অনুমান ৯ টার দিকে শিক্ষক শ্যামল ছাত্রীকে বেখৈরহাটি বাজারে সৃষ্টি মডেল কোচিং সেন্টারে আসতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর ওই কোচিং সেন্টারেই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। ওই প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

বিয়ের আশায় ও লোক লজ্জার ভয়ে ছাত্রীটি এই ঘটনা চাপা দিয়ে রাখে। কিন্তু গত ২২ অক্টোবর বেলা অনুমান আড়াইটার দিকে কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের দৈলা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে এসে প্রাইভেট পড়ে যাওয়ার পথে বেখৈরহাটি স্কুলের সামনে আসা মাত্রই শিক্ষক শ্যামল অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে নিয়ে জোর পূর্বক সি.এন.জিতে তোলে গৌরীপুর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ছাত্রীটিকে মারপিট করে বাসা থেকে বের করে দেয় শ্যামল তার স্ত্রী ও ভাই বোনেরা। নিরুপায় হয় কেন্দুয়া থানায় এসে মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রী। মামলা দায়ের পর থেকেই শিক্ষক আমিনুল ইসলাম শ্যামল গা ঢাকা দিয়েছেন।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, ওই ছাত্রীর লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শিক্ষক আমিনুল ইসলাম শ্যামল সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত শেষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসিট দেয়া হবে।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test