E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জাল সনদে ১৮ বছর ধরে চাকরি!

২০১৯ অক্টোবর ৩১ ১৭:২৪:৩২
জাল সনদে ১৮ বছর ধরে চাকরি!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাই ও মান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তী সন্যাসবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের এমএলএসএস মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে জাল সনদে ১৮ বছর ধরে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড রাজশাহীসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। 

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, এলাকাবাসির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আত্রাই ও মান্দা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ১৯৯৬ সালের ১৫ জানুয়ারি সন্যাসবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। একই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২০০০ সালের ১০ জুলাই এ প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক, কয়েকজন সহকারি শিক্ষকসহ এমএলএসএস পদে মোজাম্মেল হক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০০১ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত হয়। এরপর থেকে পিয়ন মোজাম্মেল হক নিয়মিতভাবে সরকারি বেতন-ভাতার অংশ উত্তোলন করে আসছেন। অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক আত্রাই উপজেলার সন্যাসবাড়ী গ্রামের মৃত ডোমেন প্রামানিকের ছেলে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নিয়োগপ্রাপ্তির সময় বিদ্যালয়ের এমএলএসএস মোজাম্মেল হক চকশিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদ ব্যবহার করেন। কিন্তু ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি কোনদিন লেখাপড়া করেননি। প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা সনদটি দিয়ে তিনি চাকরি করছেন।

সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে গত ৬ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। পিয়ন মোজাম্মেলের অপসারণ দাবিতে এলাকায় পোষ্টারিং করেছেন স্থানীয়রা।

সন্যাসবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়ে পিয়ন মোজাম্মেল হকের সনদটি যাচাইয়ের জন্য চকশিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পত্র দিয়েছিলাম। পিয়ন মোজাম্মেল হক চকশিমলা বিদ্যালয়ের ছাত্র নয় উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক মনির উদ্দিন আমার বরাবর একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় নিয়োগের সময় পিয়ন মোজাম্মেল হক যে সনদ ব্যবহার করেছিলেন সেটি ছিল জাল। তবে, এ প্রসঙ্গে পিয়ন মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

আত্রাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(বিএম/এসপি/অক্টোবর ৩১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test