E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কর্তৃপক্ষ নির্বিকার

মৌলভীবাজার হাসপাতালে অঘোষিত সিএনজি স্ট্যান্ড! 

২০১৯ নভেম্বর ০৬ ১৭:১৮:৪৩
মৌলভীবাজার হাসপাতালে অঘোষিত সিএনজি স্ট্যান্ড! 

স্টাফ রিপোর্টার : মৌলভীবাজার জেলার সর্ববৃহৎ সরকারি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন সদর উপজেলাসহ ৭ উপজেলার হাজারো নারী-পুরুষ ও বিভিন্ন বয়সী শিশুরা। এই হাসপাতালটিই প্রান্তিক জনগোষ্টির চিকিৎসা সেবার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের নানান বিড়ম্বনা আর ভুগান্তির শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত। এসব অনিয়মের মধ্যে এবার যুক্ত হয়েছে হাসপাতালের নতুন বিল্ডিংয়ের সামনে গড়ে উঠা অবৈধ অঘোষিত সিএনজি স্ট্যান্ড। 

শুধু সিএনজি স্ট্যান্ডই নয়, হাসপাতালের বাহিরের ফুটপাত ঘীরে গড়ে উঠেছে চা স্টলসহ ভ্রাম্যমান কাপরের দোকান ও পান সিগারেটের দোকান সমূহ। ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠা এসব দোকানের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চললেও ফের আবার কয়দিন পর দখল হয়ে যায় এসব ফুটপাত।

বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় শহরের বেশ কয়েকটি স্ট্যান্ড থেকে আসা সিএনজি চালকরা বাড়তি রুজির আশায় দূরদুরান্ত থেকে আসা রোগীর জন্য অপেক্ষা করছেন। এখানে কম হলেও এসময় ১২-১৫টি সিএনজি অটোরিক্সা দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গড়ে উঠা এই অঘোষিত স্ট্যান্ডের কারনে নানা বয়সী নারী-পুরুষ আর জরুরী চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সেবা প্রাপ্তি ব্যাহত হচ্ছে।

চারিদিকে দেয়ালঘেরা হাসপাতল ভবনের সামনে সিএনজি চালকদের এই নিরাপদ স্ট্যান্ড গড়ে উঠলেও বাধা দেওয়ার কেউ নেই। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্তই চলে তাদের রোগী আনা নেয়ার কাজ। দীর্ঘ সময় ধরে সিএনজি দিয়ে ঘেরাও থাকার কারনে রোগীরা হাসপাতাল ভবনে পৌছতে বিড়ম্বনার শিকার হন। কখনো কখনো এসব সিএনজি গাড়ি দিয়ে রোগীরা তাদের গন্তব্যে না যেতে চাইলেও তাদেও জোর করে টানা হেচড়ার অভিযোগ রয়েছে সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে জানতে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: রত্নদীপ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাসপাতালের সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বুথ স্থাপন করা হয়েছে, এখানে ৫মিনিটের বেশি সিএনজি নিয়ে থাকার কথা নয়, আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি এসব সিএনজি এখান থেকে উচ্ছেদ করতে।

তিনি বলেন, ফুটপাতে গড়ে উঠা দোকানপাট উচ্ছেদ করতে পুলিশের সহযোগীতা চেয়ে চিঠি দেবো , আশা করি তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

এ বিষয়ে কথা হয় ঐ স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজি চালক আমিনুল ইসলাম এর সাথে। এসময় তিনি অঘোষিত সিএনজি স্ট্যান্ডের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা মূলত এখানে আসি দূরের রোগীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য, অনেকে রোগী নিয়ে যেতে সময়মত গাড়ি পায়না এজন্য। এখানে সিএনজি নিয়ে যে স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে সে বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন বাধা দেয় কি না এমন প্রশ্নে ঐ সিএনজি চালক বলেন, না আমাদের কোন বাধা দেয়া হয়না।

শুধু সিএনজি স্ট্যান্ডই নয়, হাসপাতাল এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাইভেট এম্বোল্যান্স। এছাড়াও এখানে প্রতিদিন দালালদের উৎপাত,মোবাইল ও মহিলাদের ভ্যানিটিব্যাগ থেকে টাকা ছিনতাইসহ নানা ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলওে নেই তার কোন প্রতিকার।

(একে/এসপি/নভেম্বর ০৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test