E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বুলবুলে তছনছ সাকিবের কাঁকড়ার খামার

২০১৯ নভেম্বর ১১ ১৫:২৬:২০
বুলবুলে তছনছ সাকিবের কাঁকড়ার খামার

নিউজ ডেস্ক : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালি এলাকায় ৩৫ বিঘা জমির ওপর চার বছর আগে বিশাল কাঁকড়ার খামার গড়ে তুলেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। নাম দিয়েছেন ‘সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড। এখান থেকে উৎপাদিত কাঁকড়া প্রক্রিয়াজাত করে পাঠানো হয় বিদেশে।

রবিবার ভোররাতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল তছনছ করে দিয়েছে সাকিবের কাঁকড়ার খামারের বেড়া। খামারের বেড়িবাঁধ ঠিক থাকলেও উল্টে গেছে টিন ও বাঁশের বেড়া। তাছাড়া বর্তমানে কাঁকড়ার প্রজেক্টের বন্ধ মৌসুম থাকায় খুববেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ঘটনাস্থল থেকে আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ক্রিকেটার সাকিবের কাঁকড়ার খামার আর অন্যদের মাছের ঘের পানিতে সব মিশে গেছে। কোনটা সাকিবের কাঁকড়ার খামার আর কোনটা মাছের ঘের সেটি এখন বোঝা যাচ্ছে না। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে সব। তবে সাকিবের খামারের বেড়িবাঁধ মজবুত থাকায় বাঁধের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

তিনি আরও জানান, ঝড়ে সাকিবের ঘেরের বেড়া উল্টে পড়ে থাকায় বুড়িগোয়ালিনী এলাকা এসে প্রতিবন্ধকতায় পড়েন নৌবাহিনীর সদস্যরা। পরে তারা বেড়াগুলো সরিয়ে রাস্তার পাশে রেখে দেয়।

বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য লক্ষ্মী রানী শীল জানান, সাকিবের ঘেরের বাঁধ মজবুত হওয়ায় তা ভাঙেনি। তবে পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ঘেরের বেড়া নষ্ট হয়েছে।

বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ মণ্ডল বলেন, এলাকার একটি কাঁচা ঘরবাড়িও ভালো নেই। সবই বিধ্বস্ত হয়েছে। মানুষের মাঝে হাহাকার পড়ে গেছে। সকল মানুষই তাদের ঘরবাড়ি মেরামত করার চেষ্টা করছে। যে যেটুকু পারছে সেটুকু ঠিক করে নিচ্ছে। আমার ইউনয়িনে চার হাজারেরও বেশি কাঁচা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে।

সাকিবের কাঁকড়ার খামারের বিষয়ে তিনি জানান, ক্রিকেটার সাকিবের কাঁকড়ার খামারের কিছু টিনের বেড়া উল্টে গেছে। এছাড়া খামারের টিনের বাসাটিও উল্টে গেছে। আর তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের সুপারভাইজার তৌফিক রহমান বলেন, মূলত খামারটি এখন বন্ধ রয়েছে। শীতের মৌসুমে তিন মাস কাঁকড়া পাওয়া যায় না। যার কারণে বর্তমানে প্রজেক্ট বন্ধ রয়েছে। বছরের ছয় মাস খামারের কার্যক্রম চলে। বাকি ছয় মাস বন্ধ থাকে। এই ছয় মাস খামারের পুকুরগুলো কাঁকড়া চাষের জন্য প্রস্তুত করা হয়। বর্তমানে আমরা সেগুলো প্রস্তুত করছিলাম। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে পুকুরগুলো পানিতে ভেসে গেছে। খামারের টিনের বেড়াগুলো উল্টে পড়েছে। এছাড়া খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

তিনি আরও জানান, সুন্দরবনের নদীগুলো থেকে কাঁকড়া সংগ্রহের পর সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করে এখান থেকে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। নদী থেকে ৮০-১২০ গ্রাম ওজনের কাঁকড়া সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো প্রজেক্টের ফার্মে বক্সে রাখার পর নতুন করে খোলস বদলায়। খোলস বদলানোর পর সফট কাঁকড়া সংগ্রহ করে প্রসেসিং করে প্যাকেটজাত করা হয়। এগুলো বিদেশে অনেক দামে বিক্রি হয়।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test